যশোরে শিশু হত্যার দায়ে সৎমায়ের ফাঁসি
যশোরে শিশুকে হত্যার দায়ে সৎমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার যশোর জেলা স্পেশাল (জেলা ও দায়রা) জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র রায় এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিলকিস বেগম যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের আয়তুল্লা খোমেনির দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি পলাতক রয়েছেন। হত্যার শিকার শিশু রাব্বি আয়াতুল্লাহ খোমেনির প্রথম স্ত্রীর সন্তান।
বিশেষ আদালতের প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুজ্জামান পলাশ জানান, ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামে সৎ মা বিলকিস বেগম ভাতের সাথে কিটনাশক মিশিয়ে সাত বছরের শিশু রাব্বিকে হত্যা করেন। এঘটনায় রাব্বির চাচা মোমিনুর রহমান হত্যা মামলা করেন।
২০১০ সালে ৯ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট জমা দেন। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিলকিস জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন। ২০১১ সালের ৪ জুলাই আদালতে মামলার চার্জগঠনের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আইনজীবী পলাশ আরও জানান, রাব্বির যখন তিন বছর বয়স, তখন তার মা রোকসানা ভ্যানচালক বাবা আয়তুল্লা খোমেনিকে ছেড়ে চলে যান। এরপর খোমেনি বিলকিসকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বিলকিস শিশু রাব্বির উপর নির্যাতন করতেন। এ কারণে শিশু রাব্বি তার দাদি তাহারুন্নেসার কাছে থাকতো। ঘটনার দিন বিলকিস রাব্বিকে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে তার ঘরে নিয়ে যান। রাব্বি খেতে না চাইলেও তাকে জোর করে খাওয়ানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়।
এসময় পরিবারের সদস্যদের জেরার মুখে বিলকিস স্বীকার করেন তিনি ভাতের সঙ্গে ধানে দেয়া কিটনাশক মিশিয়ে দিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে ও আদালতে তিনি একই স্বীকারোক্তি দেন। এরপর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বুধবার বিচারক তার মৃত্যুদণ্ড দেন।
মিলন রহমান/এমএএস/এবিএস