৪ দিন ধরে বেনাপোলে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে ভারত ফেরা যাত্রীরা
টানা চারদিনেও সুরাহা হয়নি জটিলতার। ফলে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিকল্পভাবে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত ফেরা যাত্রীরা বেনাপোল এসে পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে ঢাকা, যশোর পরিবহন মালিক সমিতি। এদিকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) থেকে সাতক্ষীরা-নাভারন-ঢাকা রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক-শ্রমিকরা।
বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। এ টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষণ করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য রাতের বাসগুলো চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে পৌর টার্মিনালে চলে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ ২২ নভেম্বর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রীদের পৌর বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি।
ভারত থেকে আসা দুই দেশের যাত্রীরা বলছেন, বাস যে বন্ধ তা তারা জানতেন না। ফলে বেনাপোলে এসে পড়েছেন ভোগান্তিতে। রোগীরা পড়ছেন দুর্ভোগে।
বেনাপোল পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু জানান, জটিলতা সমাধানে রোববার বিকেলে যশোর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। ফলে টানা চারদিনের মতো তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।
বেনাপোল চেকপোস্টের শ্যামলী এনআর বাস কাউন্টারের স্টাফ মনজিল হোসেন বলেন, যাত্রী ভোগান্তি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকায় মালিকদের নির্দেশে চারদিন ধরে বেনাপোল রুটে কোনো বাস ছাড়েনি।
খুলনা বিভাগ ও যশোর জেলা বাস মালিক সভাপতির মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, আমদানি-রপ্তানিবাহী ট্রাকের কারণে যানজটের সৃষ্টি হতো। কিন্তু এখন বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে জট।
দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. নাজীব হাসান বলেন, তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) কেন ধর্মঘট ডেকেছে, আমরা ওয়াকিবহাল নই। তাদের কোনো কিছু বলার থাকলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারে। নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এটা করা হয়েছে। তার নির্দেশনা ছাড়া আমাদের পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। পৌর টার্মিনাল থেকেই যাত্রী ওঠাতে হবে এবং নামাতে হবে।
মো. জামাল হোসেন/জেডএইচ/এমএস