বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যের বিকল্প নেই: এ জেড এম জাহিদ
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রংপুর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা সংখ্যাগুরু না, সংখ্যালঘুও না। আমরা বাংলাদেশি। কাজেই এই বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই।
জাতির মধ্যে বিভাজন থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে এক করতে না পারলে কেউ পেছনে পড়বে কেউ সামনে এগিয়ে যাবে। যেমন পতিত স্বৈরাচার সরকার মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করেছে। এতে এক শ্রেণি এগিয়ে গেছে, অন্য শ্রেণি পেছনে পড়েছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, অনেকেই অনেক রকম কথা বলবেন। জিএনজিরা হয়তো বলবেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে হবে, ১৯৪৭ না হলে ১৯৭১ হতো না, ৯০ না হলে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট হতো না। তাই অতীতকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে নতুনভাবে। তবে অতীতকে ভুলে যাওয়া যাবে না। তাহলে অতীতের মতোই অবস্থা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিজের দুই নাবালক সন্তানের কথা ও সহধর্মিণীর কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র দেশের কথা চিন্তা করে একজন মেজর হয়ে শহীদ জিয়া কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুধু ঘোষণা দিয়ে বসে থাকেননি। তিনি নিজে যুদ্ধ করেছেন। শহীদ জিয়া যখন ঘোষণা করেন, তখন তিনি সিনিয়র মেজর ছিলেন। অথচ তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বৈষম্যের শিকার হলেন।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ৫ আগস্টের তিনদিন আগে এক নেত্রী বলেছিলেন, অমুকের বেটি কখনো পালায় না। অথচ তিনদিন পরেই ঘটলো উল্টোটা। তাই বলতে হবে, আমরা অসীম না, আল্লাহ তায়ালা অসীম। আমরা ক্ষমতাশালী না, ক্ষমতাশালী হলো জনগণ। তাই জনগণকে সামনে রেখে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে পারে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার সবসময় চলমান প্রক্রিয়া। এক প্রজন্ম থেকে সামনের প্রজন্ম সব প্রজন্মের আলাদা চাহিদা থাকে। তাই জনগণের চাহিদাই সংস্কারের শর্ত পূরণ। এজন্য ড. কামাল হোসেন বলেছেন- কলমের খোঁচায় সংবিধান সংস্কার করা যায় না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কার করতে হয়। এজন্যই আমাদের দেশনায়ক তারেক জিয়া ৩১ দফা দিয়েছেন। আমরা সেই ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন। আলোচনা সভায় বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জিতু কবীর/জেডএইচ/জিকেএস