ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজবাড়ীতে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জেলা প্রতিনিধি | রাজবাড়ী | প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ীতে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল, মুসলিম সাহিত্যিক ও কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’র রচিয়তা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন হয়েছে।

দিনটি উদযাপনে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলা একাডেমি স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজবাড়ী বালিয়াকান্দির নবাবপুরের পদমদীতে অবস্থিত মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের মীরের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।

পরে দোয়া মাহফিল ও মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রে এই সাহিত্যিকের কর্মময় জীবন তুলে ধরে সেমিনার হয়।

এতে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব (যুগ্মসচিব) মোহা. নায়েব আলী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাসিবুল হাসান।

সেমিনারে প্রবন্ধকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর ও আলোচক হিসেবে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল, রাজবাড়ী মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি সালাম তাসির, বালিয়াবান্দি মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজালাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মারা যান। পড়ে তাকে এখানেই সমাহিত করা হয় এবং তার স্মৃতি রক্ষার্থে পদমদীতে নির্মাণ করা হয় মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র।

এখানে রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের স্ত্রী বিবি কুলসুম, ভাই মীর মোকাররম হোসেন, তার স্ত্রী বিবি খোদেজা বেগমের সমাধি। এছাড়া স্মৃতি কেন্দ্রে রয়েছে মীরের ভাস্কর্য, সংগ্রহশালা, সভাকক্ষ, গ্রন্থাগার, পাঠাগার, অভ্যর্থনা কক্ষ, ভিআইপি রুম, আবাসন কর্মকর্তার কক্ষ। তবে এখানে দর্শনার্থীদের তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দিন দিন কমছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন তিনি সাংবাদিকতাও করেন।

মীরের রচনা সমগ্রহের মধ্যে রত্নাবতী, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব, বিষাদ সিন্ধু, গো-জীবন, বেহুলা গীতাভিনয়, গাজী মিয়ার বোস্তানী, মৌলুদ শরীফ, মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা, বিবি খোদেজার বিবাহ, হজরত ওমরের ধর্মজীবন লাভ, হজরত বেলালের জীবনী, হজরত আমীর হামজার ধর্মজীবন লাভ, মোসলেম বীরত্ব, এসলামের জয়, আমার জীবনী, বাজিমাত, হজরত ইউসোফ, খোতবা বা ঈদুল ফিতর, বিবি কুলসুম, ভাই ভাই এইতো চাই, ফাস কাগজ, একি, টালা অভিনয়, পঞ্চনারী, প্রেম পারিজাত, বাঁধাখাতা, নিয়তি কি অবনতি, তহমিনা, গাজী মিয়ার গুলি ও বৃহৎ হীরক খনি উল্লেখযোগ্য।

রুবেলুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস