সাতক্ষীরা
বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে ১২০০ বিঘার চিংড়িঘের দখলের অভিযোগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১২০০ বিঘা আয়তনের ‘বিসমিল্লাহ-০৩’ নামের একটি চিংড়িঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত দুই শতাধিক লাঠিয়াল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ঝাাঁপা-সোনাখালী গ্রামে ঘেরটি দখল করে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমজাদুল ও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ঘের দখলের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘেরের চারদিকে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত ঘেরের ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের কোনো হদিস মেলেনি। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র আতংক বিরাজ করছে।
ঘের মালিক রবিউল্লাহ বাহারের ভাই সফিউল্লাহ জানান, দু’পক্ষের মামলা চলমান থাকায় সম্প্রতি বিজ্ঞ আদালত উক্ত ঘেরে একজন ‘রিসিভার’ নিয়োগ করেন। পরে বাদি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালত পূর্বের আদেশ স্থগিত করলে রাত ৯টার দিকে বিএনপির সহ-সভাপতি আমজাদুল ও যুবদল সভাপতি হাফিজুরের নেতৃত্বে দখলের ঘটনা ঘটে।
সফিউল্লাহ আরও জানান, দখলের পরপরই হামলায় জড়িতরা ২০/২২টি জাল দিয়ে ৭০ মণেরও বেশি মাছ লুট করে। ঘের দখলের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় জমির মালিকদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।
জমির মালিক মাখন লাল জানান, দীর্ঘদিন সাত্তার মোড়ল তাদের জমি জবর দখলে নিয়ে ঘের পরিচালনা করতো। তবে ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর সাত্তার মোড়ল বিএনপির সহ-সভাপতি আমজাদুল ইসলামের কাঁধে ভর করে নিরীহ জমি মালিকদের জিম্মি করার পুরানো কৌশলে মত্ত রয়েছে।
এবিষয়ে বিএনপি সহ-সভাপতি আমজাদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এছাড়া অভিযুক্ত যুবদল সভাপতি হাফিজুর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ কেটে দেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দখলদার লাঠিয়াল বাহিনীর এক সদস্য জানান, সন্ধ্যার পর পাখিমারা এলাকা থেকে তিন/চারশ মানুষ ঘেরটি দখল করেছে। এসময় কিছু ভাঙচুরসহ কর্মচারীদের সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, এবিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এএইচ/এএসএম