কুষ্টিয়া শিশু পরিবার
দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন-অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে
কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবারে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
এর আগে ওই প্রতিষ্ঠানের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াস হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে আসাদুজ্জামানকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ও ইলিয়াস হোসেনকে বাগেরহাটের রামপালে বদলি করা হয়েছে।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ জানান, সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) উপ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আফসার উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৯ নভেম্বর থেকে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের উপ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন:
সোমবার সন্ধ্যায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফের কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এরআগে ৯ নভেম্বর রাতে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, শুভঙ্কর ভট্টাচার্য ও প্রবেশন অফিসার আতাউর রহমান ছিলেন।
মো. আব্দুল লতিফ জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতনসহ নানা অনিয়মের বিষয় উঠে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের বদলি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বদলির কোনো সম্পর্ক নেই।
২ নভেম্বর কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবার (বালক) থেকে রিজভী ও নাহিদ নামের দুই শিক্ষার্থী প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে যায় বলে দাবি করেন উপ-তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান। নিখোঁজের ঘটনা ঘটলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন করে রাখে। পরে ৪ নভেম্বর নিখোঁজ রিজভীর মামা লোকমান হোসেনের কাছে খুলনা থেকে একটি কল আসে। ট্রেনের ভেতর রিজভীর ব্যাগ পাওয়া গেছে বলে জানায়।
বিষয়টি উপ-তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামানকে জানালেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তারা গড়িমসি শুরু করেন। পরে পরিবারের চাপে ঘটনার দুদিন পর কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ৯ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের শিশুরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের মুখে ওই দিন অভিযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াস হোসেনকে পুলিশ আটক করে।
আল-মামুন সাগর/আরএইচ/এমএস