ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আরজখাঁর ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার সালাম ফকিরের বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন চরভদ্রাসনের গাজীরটেক ইউনিয়নের চর সুলতানপুর গ্রামের দোপাডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রিশাদ বেগ (৩৫) ও তার ভাই মজিবর বেগ (৫০) এবং তাদের ভাতিজা শোয়েব বেগ (২৪)। তাদের প্রথমে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন গাজীরটেক ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রিশাদ বেগ। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

ওবায়দুল বারী বালু রাখার জন্য ডাঙ্গী গ্রামের আওয়াল মুন্সির কাছ থেকে আওয়াল মুন্সির মালিকানাধীন পদ্মা নদীর পাড়ে এক একর জায়গা ভাড়া নেন। বুধবার ইউপি মেম্বার রিশাদ বেগ তার ভাই মজিবর বেগ ও ভাতিজা শোয়েব বেগ ভাড়া নেওয়া জায়গায় খনন যন্ত্র নিয়ে বালু রাখার জন্য আইল করতে যান। এসময় ওবায়দুল বারির সমর্থকরা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বন্ধু সুন্দর সাহা বলেন, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রিশাদ বেগের ভাই মুরাদ বেগ বলেন, ‘ওই জমির মালিক আওয়াল মুন্সি বিদেশে থাকেন। তিনি ওই জায়গায় আমার ভাই রিশাদকে ভাড়া দেন। গতকাল ওই জমিতে কাজ করতে গেলে ওবায়দুল বারীর নেতৃত্বে আমার দুই ভাই ও এক ভাতিজাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।’

কে এম ওবায়দুল বারী বলেন, ‘আমি আওয়াল মুন্সির কাছ থেকে জমি ভাড়া নিই। একদল লোক জমিটি দখল করতে আসে। এসময় প্রথমে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই এসব ঘটনা ঘটে গেছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। যে পক্ষ হামলার শিকার হয়েছে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস