এবার তনুর চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলল সিআইডি
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকাণ্ডের ৫০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে পারেনি পুলিশ, ডিবি ও মামলার বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা।
সোমবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম তনুর গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে যান। সেখানে তিনি তনুর চাচাতো ভাই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মিনহাজের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসেন।
এদিকে মঙ্গলবার মামলার তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান ঢাকা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ কুমিল্লায় আসছেন বলে কুমিল্লা সিআইডি সূত্রে জানা গেছে।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজার সঙ্গে কথা বলেছেন। তনুর মৃত্যুর দিন সে আমাদের বাসায় অবস্থান করছিল।
মামলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এগুলো নিয়ে আর কি বলবো! মেয়েকে হারিয়েছি, মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলে মনে শান্তি পেতাম। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রেখেছি, আল্লাহই বিচার করবেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিমের বক্তব্য জানার জন্য তার ফোনে একাধিক চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার অদূরে একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। ওই দিনই তনুর বাবা কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে ডিবি এবং বর্তমানে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। ছায়া তদন্ত করছে র্যাব ও পিবিআই।
গত ৪ এপ্রিল দেয়া প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তনুকে ধর্ষণের আলামত এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি। এর আগে ২য় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। কিন্তু ২য় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট গত ৩৯ দিনেও প্রদান না করায় এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে তনুর পরিবার।
কামাল উদ্দিন/ এমএএস/এবিএস