ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে বেকায়দায় পুলিশ সদস্য

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে দুই পক্ষের রোষানলে পড়ে মারধর ও লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য। রোববার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের সালামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় লাঞ্ছনার শিকার শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদির নাম জানা গেলেও অন্য পুলিশ সদস্যদের নাম জানা যায়নি।

এ ঘটনার ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি আম বাগানে অর্ধশত নারী-পুরুষ বাগবিতণ্ডা করছেন। এরই মধ্যে এদের একটি পক্ষ পুলিশকে দৌড়ে গিয়ে চড় চাপ্পড় মারতে থাকে। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি এই পুলিশ সদস্যের। তাকে ঘিরে ধরে আবারো মারধর করা হয়। তবে এসআই মেহেদিকে মারধর করার সময় অন্য পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কানসাট বিশ্বনাথপুর মিয়াপাড়া গ্রামের আনরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় শাহবাজপুর ইউনিয়নের সালামপুর গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে বেলালের। স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় শনিবার মেয়ে পক্ষের লোকজন ছেলে পক্ষের বাড়িতে আসেন। কিন্তু রাতে বাসাই ফেরেননি। এদিকে মেয়ে পক্ষ থানায় অভিযোগ করেন তাদের লোকজনকে ছেলে পক্ষের লোকজন আটকে রেখেছেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এ সময় ছেলে পক্ষের লোকজন পুলিশকে মারধর করেন। মাটিতে ফেলে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে করে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মেহেদি বলেন, আমাদের মারধর করা হয়নি। আমি পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। এগুলো হয়েই থাকে।

সাংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে এসে এমন ঘটনা ঘটেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। লাঞ্ছিতও করা হয়েছে।

শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজামুল হক বলেন, পুলিশকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। তবে কী কারণে মারধর করা হয়েছে তা জানি না।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, পুলিশের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। তাদের দুই পক্ষের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, তাদের পরিবারিক ঝামেলায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। ধস্তাধস্তি হয়েছে তাদের দুই পক্ষের।

সোহান মাহমুদ/এফএ/জেআইএম