নুরের ওপর হামলা মামলায় এবার সাবেক মেয়র মুক্তি গ্রেফতার
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা মামলায় এবার গ্রেফতার হলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে টাঙ্গাইল আদালত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নুরুল হক নুরের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
রাতে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে টাঙ্গাইল আদালত চত্বরের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়।
ওসি তানভীর আহম্মদ জানান, তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাবাদের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকাররে পতন হওয়ায় প্রায় তিন বছর পর সেই ঘটনার জন্য ওই দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এই মামলা তালিকাভুক্ত (রেকর্ড) করা হয়।
মামলায় শাকিলুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তমঞ্চের কাছে পৌঁছার পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) সভাপতি মানিক শীল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পালের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে নুরুল হক নুরের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
পরে কতিপয় পুলিশ সদস্যের সহায়তায় তারা জীবন নিয়ে ফিরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঘটনার পর তারা মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু টাঙ্গাইল সদর থানা কর্তৃপক্ষ সে সময় মামলা গ্রহণে অসম্মতি জানায়।
এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এই মামলা তালিকাভুক্ত (রেকর্ড) করা হয়।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ লেখক ভট্টাচার্যসহ অন্যদের আসামি করা হয়।
মামলায় আসামিদের মধ্যে আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, ছানোয়ার হোসেন ও খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান
সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রনি আহমেদের নাম রয়েছে।
এআরটি/ইএ