ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চড়া সুদে ঋণ থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন সেই দম্পতি

জেলা প্রতিনিধি | মৌলভীবাজার | প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ব্যবসায়ী সালাম আহমদ (২৩) ও তার স্ত্রী ফারজানা আক্তারের (১৯) সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা ছয়দিন চট্টগ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মিয়ারবাজার এলাকায় তাদের সন্ধান পাওয়া যায়।

এ দম্পতি নিখোঁজের বিষয়ে সম্প্রতি তাদের স্বজনদের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ‘কুষ্টিয়ায় বেড়াতে গিয়ে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ দম্পতি’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদও প্রকাশিত হয়।

তারা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মনসুর এলাকার বাসিন্দা। কুলাউড়া পৌর শহরের দক্ষিণ বাজার এলাকায় সালামের পান বিক্রির পাইকারি দোকান রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার মাস আগে ফারজানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

সালামের বড় ভাই আলী আহমদ জানান, সালাম ব্যবসার জন্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে চড়া সুদে বিভিন্ন অংকের টাকা ধার নেন। বিষয়টি সালাম পরিবারের অন্য সদস্যদের জানাননি। সম্প্রতি পাওনাদাররা টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন। এতে বাধ্য হয়ে সালাম স্ত্রীকে নিয়ে কুষ্টিয়ায় পরিচিত এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আত্মগোপনে চলে যান।

তিনি আরও জানান, সালাম কৌশলে নিজের দোকানের কর্মচারীর কাছ থেকে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা নেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রথমে একটি আবাসিক হোটেলে ভাড়া থাকেন তারা। পরে সেখানে একটি বাসা ভাড়া নেন।

প্রযুক্তির সহায়তায় সালামের অবস্থান চট্টগ্রামে জানা যায়। এরপর কুলাউড়ার পরিচিত কয়েকজনের সহযোগিতায় বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হন তারা। আজ সকালে বাঁশখালীর মিয়ারবাজার এলাকার একটি বাসায় সালাম ও তার স্ত্রীর সন্ধান মেলে। এসময় দুজনই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। একপর্যায়ে সালাম আত্মগোপনের ঘটনাটি তাদের জানান। সালাম ও তার স্ত্রীকে উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা মাইক্রোবাসে করে চট্টগ্রাম থেকে কুলাউড়ায় ফিরছেন বলেও জানান বড় ভাই আলী আহমদ।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আফসার বলেন, ব্যবসায়ী সালাম ও তার স্ত্রীর সন্ধান মিলেছে বলে স্বজনরা তাদের জানিয়েছেন। তারা কুলাউড়ায় ফিরলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

ওমর ফারুক নাঈম/এসআর/জেআইএম