ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অবশেষে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুরের কুন্ডুবাড়িতে দুইশ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) থেকে তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হবে। মেলায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর কালিপূজা ও দিপাবলী উপলক্ষে কুন্ডুবাড়ির মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার মেলা বন্ধ নিয়ে জেলাজুড়ে বেশ আলোচনা ও সমলোচনা শুরু হয়। মেলা বন্ধের ব্যানারও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে। পরে রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলেম সমাজ, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভা করে জেলা প্রশাসন। সবার সম্মতিতে সভা শেষে অনুমতি দেওয়া হয় মেলার।

এর আগে ১৬ অক্টোবর অশ্লীলতা, চাঁদাবাজি, মাদক, জুয়াসহ ৯টি অভিযোগ এনে ব্যানার টানিয়ে মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্থানীয় আলেম সমাজ। পরে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইজারা বাতিল হলেও নিময় মেনেই মেলা চলবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। তবে প্রতিবছর পাঁচ দিন হলেও এবার তিন দিন হবে কুন্ডুবাড়ির মেলা। শেষ হবে শুক্রবার (১ নভেম্বর)।

অবশেষে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা

এদিকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে মেলাস্থল পরিদর্শন করেছে প্রশাসন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সেনানিবাসের কর্নেল তারিক মাহমুদ, লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মামুন, কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মেজর মো. মুনতাসীর মামুন গৌরব, ক্যাপ্টেন আবু আমিন প্রমুখ।

মেলায় অংশ নেওয়া কাঠ ব্যবসায়ী সুনেশ বলেন, ‘আমরা প্রায় ৪০ বছর ধরে এই মেলায় আসবাবপত্র বিক্রি করার জন্য আসি। এ মেলায় কাঠের আসবাবপত্র বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন ডিজাইনের আসবাবপত্র মেলায় নিয়ে এসেছি। অনেক কাঠের দোকান বসেছে।’

কুন্ডুবাড়ির কালি মন্দিরের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু বলেন, একদল মানুষ মেলা বন্ধের পক্ষে ছিলেন। পরে প্রশাসন থেকে তিন দিনের মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মেলার সব আয়োজনও শেষ হয়েছে।

কালকিনি ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, প্রথমে মেলা নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হলেও সেই সমস্যা কেটে গেছে। পূজা উদযাপন কমিটি, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মেলা পরিচালিত হবে। মেলায় আগত দোকানি, দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করবে প্রশাসন। চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসআর/এমএস