গাজীপুর
বনভূমিতে দখলদারদের আগ্রাসন, ৭৪৫০ একর বেদখল
• জনবল সংকটে অসহায় বন বিভাগ
• বনের জমিতে গড়ে উঠছে কারখানা-বহুতল ভবন-হোটেল-রিসোর্ট
• মামলা দিয়েই দায়িত্ব শেষ
• চন্দ্রা-কাচিকাটা রেঞ্জে বনভূমি দখলের মচ্ছব বেশি
গাজীপুরে অবৈধ দখলদারদের কারণে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে বনের জমি। বন বিভাগ এসব জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করলেও কিছুদিন পর আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সীমিত জনবল দিয়ে বন বিভাগ চেষ্টা করেও দখলকারদের থামাতে পারছে না। বছরে কয়েকবার জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালালেও থেমে থাকছে না বনের জমি দখল।
বছরের পর বছর ধরে অবৈধ দখলদাররা বনের জমি দখল করে মিল কারখানা, বহুতল ভবন, হোটেল, রিসোর্ট গড়ে তুললেও তাদের উচ্ছেদ তৎপরতা তেমন নেই। মাঝে মধ্যে অভিযানের মাধ্যমে কিছু জমি উদ্ধার করা গেলেও কিছুদিন পর সেই জমি ফের দখল হয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগ আর অবৈধ দখলদারদের চোর-পুলিশ খেলায় হারিয়ে যাচ্ছে বনের জমি।
শাল-গজারিবেষ্টিত সমতল গাজীপুরে বনবিভাগের নিজস্ব ভূমি রয়েছে ৫২ হাজার ৭৩৭.১৫ একর। গাজীপুরের খ্যাতি লাভ করেছে শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে। পাশাপাশি জনসংখ্যাও বেড়েছে সমানতালে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের। ফলে রাতারাতি জবরদখল করে বনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তৈরি করা হয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, বিপণিবিতানসহ নানান স্থাপনা। কিছু শিল্প মালিকরাও বন দখল করে কারখানা করেছেন।
বন বিভাগের হিসেব মতে, গত ৫ আগস্টের আগে উল্লেখিত বনভূমির ৭ হাজার ৪৫০ একর জমি বেদখলের কথা বলা হলেও বাস্তবে পরিমাণটা আরও অনেক বেশি। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গাজীপুরের বনভূমিতে চলছে ব্যাপক আগ্রাসন। বিট অফিসে হামলা, অস্ত্র লুট ছাড়াও বন বিভাগের কোনো কর্মী সরেজমিন জবরদখলে বাধা দিতে গেলে মুহূর্তেই শতশত মানুষ একত্রিত হয়ে দলবেঁধে তাদের ওপর আক্রমণ করছেন।
সহকারী বন সংরক্ষক (তথ্য প্রদানকারী) কর্মকর্তা (ঢাকা বিভাগ) রেজাউল আলম জানান, সম্প্রতি গাজীপুরের পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বিনা কারণে তিনিও হামলার শিকার হয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুরের বিস্তীর্ণ বনভূমি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঢাকা ও বন্যপ্রাণী বিভাগের আওতায় ছয়টি রেঞ্জ অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন ২৭টি বিট অফিস রয়েছে। এসব বিট অফিসে নিরস্ত্র ও যানবাহনবিহীন একজন বিট অফিসারসহ মাত্র তিনজন জনবল রয়েছে। রেঞ্জ অফিসগুলোতে বন্দুকসহ একজন রেঞ্জ অফিসার থাকলেও তার নিজস্ব জনবল নেই। কাগজে-কলমে গাড়ি বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে তা অকেজো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫ আগস্টের পর গত দুমাসে জেলার রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের মনিপুর ও ভবনীপুর বিট অফিস এলাকাতেই গড়ে উঠেছে অন্তত দেড় হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ও কাচিকাটা রেঞ্জে দখলের পরিমাণ আরও বেশি।
স্থানীয়রা জানান, ওইসব এলাকায় দুই মাসে কয়েক কোটি টাকার বেশি কাঠ, বাঁশ, লোহা ও ঢেউটিন বিক্রি হয়েছে। গভীর রাতেও বনের ভেতর হাতুড়ির শব্দ পাওয়া যায়। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ঘরবাড়িতে বিদ্যুতের বৈধ মিটার, গভীর নলকূপ পর্যন্ত স্থাপন করা হচ্ছে। বনভূমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। দখলদাররা প্রকাশ্যে বীরদর্পে বাড়িঘর নির্মাণ করলেও তাদের নিষেধ করার মতো কেউ নেই।
বন বিভাগের স্থানীয় কর্মীরা সবকিছু দেখেও কিছু করতে পারছেন না। তারা দখলদারদের কাছে অসহায়। পুলিশও তাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। বনের তিনজন খালি হাতে বাধা দিতে গেলে গ্রামের মহিলারাও তাদের তাড়া করেন। ৫ আগস্টের পর বন আদালতে ৪১টি মামলা হলেও এসবের কোনো কার্যক্রম নেই। পুলিশ আসামি না ধরার কারণে এলাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের ভবানীপুর ও মনিপুর বিট অফিসের রাজেন্দ্রপুর, শিরিরচালা, বানিয়াচালা, বাঘের বাজার, মন্ডলবাড়ী, মনিপুর, নয়াপাড়া, ফকির মার্কেট, রাজশাহী মার্কেট, বিকেবাড়ি, ডুগরী, বাউপাড়া, জাঙ্গালিয়াপাড়া, নান্দোয়াইন, বাংলা বাজার এলাকায় দখল বেশি হচ্ছে। কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ও কাচিকাটা রেঞ্জে বনভূমি দখলের মচ্ছব আরও বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমিত জনবল দিয়ে বন বিভাগের লোকজন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ছোটখাটো অভিযান পরিচালনা করেন। যখনই বনের জমি দখলের খবর পান তখনই তাদের সাধ্যমতো লোকজন নিয়ে দখলে বাধা দেন। অনেক ক্ষেত্রে সফল হন আবার কখনো সফল হন না। তখন তারা দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন।
বছরের পর বছর সে মামলা চলতে থাকে আর দখল করা জমির পরিমাণও বাড়তে থাকে। দখল করা জমিতে স্থায়ী স্থাপনা হলে বন বিভাগ উচ্ছেদ মোকদ্দমা করে। আর এ উচ্ছেদ মামলাগুলো আদালতে পড়ে থাকছে বছরের পর বছর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনিপুর এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, বন বিভাগের স্থানীয় অসাধু কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রথমে একটি ঘর তোলা হয়। পরে সে ঘরের পরিধি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ওই কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেলে নতুন কর্মকর্তা এসে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে উচ্ছেদ মামলা দেন। আর একবার উচ্ছেদ মামলা হলে দখলকারীর অবস্থান স্থায়ী হয়ে যায়। কারণ বন বিভাগের এরকম শতশত উচ্ছেদ মামলা আদালতে রয়েছে। তার সুরাহা হচ্ছে না। বনের জমি উদ্ধারে বন বিভাগ অনেকটা জেলা প্রশাসননির্ভর হয়ে উঠেছে।
বন বিভাগের দখল করা জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বন বিভাগের লোকজন স্থানীয় জেলা প্রশাসকের দারস্থ হন। অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিতে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেন। বছরে দু-তিনটি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারে জেলা প্রশাসন। আর একটি অভিযান পরিচালনা করতে প্রশাসনের খরচ হয় কয়েক লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ ও মনিপুর বিট অফিসে বোকরান মৌজার আরএস-৮২৬ নম্বর দাগে আনুমানিক এক কাঠা জমির মালিক সুমন মাহমুদ। কিন্তু তিনি পাশের আরএস ৮০১ নম্বর দাগে বনের ৩ কাঠাসহ ৪ কাঠা জমিতে আরসিসি পিলার কারে ছয়তলা বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই বাড়ির একতলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। বন বিভাগের লোকেরা বাধা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে সুমন মাহমুদের বিরুদ্ধে বন আদালতে একটি মামলাও করেছেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। সুমন মাহমুদ বাড়ির নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন।
একই বিটের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হোতাপাড়া এলাকায় বন বিভাগের ১০ কোটি টাকা মূল্যের একবিঘা জমিতে টাইলস মার্কেট নির্মাণ কাজ চলছে। অভিযোগ রয়েছে, বোরকান-মনিপুর মৌজার সিএস ৫৮৬ নম্বর দাগে বন বিভাগের গেজেটভুক্ত ওই জমিতে এরইমধ্যে ১৪টি দোকান নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে।
মনিপুর মধ্যপাড়া নজরুল ইসলাম এসিআই সিরামিকস কারখানায় চাকরি করেন তার মার্জিয়া বেগম। তিনি বলেন, শ্বশুরের আমল থেকে তারা বনের জায়গায় একটা বাড়িতে থাকতেন। এখন সুযোগ এসেছে তাই দক্ষিণ দিকে ঘুরে নতুন করে চার কক্ষের একটি টিনশেড বাড়ি করছেন। ওই জমিতে লাখ টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ (সাবমার্সেবল) স্থাপন করেছেন। বনের কেউ তাদের বাধা দিতেও আসেনি।
মার্জিয়া বেগম আরও বলেন, ‘ছয় মাস আগে বনের লোকজন এ জমিতে গাছ লাগাতে এসেছিলেন। পরে গাছ না লাগানোর জন্য তাদের ১৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।’
বন বিভাগের মনিপুর বিট অফিসার ওয়ালিদ বিন মতিন বলেন, ‘আমার বিট অফিসে লোকসংখ্যা মাত্র তিনজন। বনের জমি দখলের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে বাধা দিতে গেলে দখলকারীরা মারতে আসে। আমরা কয়েকবার হামলার শিকারও হয়েছি। গ্রামের মহিলারাও একযোগে তেড়ে আসে। বিষয়টি আমাদের উচ্চমহলেও অবগত আছেন।’
রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ অফিসার মো. জুয়েল রানা বলেন, গত ২৯ আগস্ট গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে সভা হয়। সেখানে দখলদারদের নামে মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভাওয়ালের গড় হচ্ছে গাজীপুরের অক্সিজেনের ভান্ডার। ধীরে ধীরে এ ভান্ডার খালি হয়ে যাচ্ছে। এখনো যেটুকু আছে তাকে সংরক্ষণ করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে বনকে রক্ষা করতে হবে। বনের জমি নিয়ে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।’
গাজীপুরে নিয়ে চালানো এক গবেষণা জরিপে বলা হয়েছে, গত দুই যুগে গাজীপুর জেলার বনভূমি ও জলাশয় কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। উল্টো দিকে বেড়েছে শিল্পায়ন ও শহরায়ন।
গবেষণা জরিপ পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন (বিআরএফ), রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। এ গবেষণার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু নদী হলেও সঙ্গত কারণেই এতে পরিবেশের অন্যান্য উপাদানগুলোর বর্তমান অবস্থা, ক্রমবিবর্তনের চিত্র উঠে এসেছে। ২০২৩ সালে এই গবেষণা জরিপ সম্পন্ন হয়।
গবেষণা বলছে, একবিংশ শতাব্দীর শুরু অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে গত ২৩ বছরে এক সময়কার সবুজ-শ্যামল গাজীপুরের পরিবেশের বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেছে। উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বনাঞ্চল, জলাশয়, খোলা জায়গা। উল্টো দিকে বেড়েছে শিল্পায়ন ও শহরায়ন।
জেলায় ২০১১ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৩০ লাখের কাছাকাছি। ২০২২ সালে তা এসে ঠেকেছে ৫০ লাখের বেশি। দেশের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮১২৬ জনের বসবাস।
পরিবেশগত সমীক্ষা বলছে, ২০০০ সালে জেলায় মোট জলাভূমির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৪৬২ হেক্টর বা মোট আয়তনের ৬.৭৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫৬৮ হেক্টর বা মোট আয়তনের ৩.২৭ শতাংশ।
একটি জেলার মোট আয়তন অনুযায়ী অন্তত ৭-১৪ শতাংশ জলাভূমি থাকতে হয়। অথচ গাজীপুর আদর্শ মান থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তার ওপর জেলায় তুরাগ, বালু, বংশী, শীতলক্ষ্য, চিলাইসহ নদ-নদীগুলো শিল্পবর্জ্যসহ নানামুখী মারাত্মক দূষণের শিকার। যার প্রভাব পড়ছে জেলার সার্বিক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে।
একটি জেলার মোট আয়তন অনুযায়ী ২০-২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয়। ২০০০ সালে গাজীপুরে বনভূমির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৯৪৩ হেক্টর বা ২৩.৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে জেলায় বনভূমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৭৪ হেক্টর বা ৯.৪৯ শতাংশে। অথচ এ জেলাতেই অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বনভূমি।
গাজীপুরে ২০০০ সালে আবাদকৃত মোট কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ২৭০ হেক্টর। ২০২৩ সালে এসে জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৩০৭ হেক্টরে। ২০০০ সালে মানববসতি ছিল ৮৫ হাজার ৫৭৩ হেক্টর এলাকায়, যা মোট আয়তনের ৫০.২১ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসে বসতিকৃত এলাকা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ১৭৯ হেক্টর; যা মোট আয়তনের ৬৫.৮৩ শতাংশ।
২০০০ সালে শিল্প এলাকা বিস্তৃত ছিল ৯ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ হেক্টরে। ২০০০ সালে জেলায় খোলা জায়গার পরিমাণ ছিল ৫৪৩৬ হেক্টর। ২০২৩ সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৩১৬ হেক্টরে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বিনষ্ট করে অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়ন এবং নগরায়নের বিধ্বংসী প্রভাবের কারণে গাজীপুর এখন দেশের পরিবেশগত বিপর্যয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এ জেলার পরিবেশগত অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। এখানে উল্লেখযোগ্য হারে বনভূমি, জলাভূমি দখল করা হচ্ছে। বায় ও পানি উভযয়ের দূষণের মাত্রা অতিউচ্চ। যা ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে জনস্বাস্থ্যে।
এসআর/এএসএম