ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বান্দরবান

ধুঁকছে পর্যটন ব্যবসা, বন্ধের আশঙ্কা সব হোটেল-রেস্তোরাঁ

জেলা প্রতিনিধি | বান্দরবান | প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পর্যটনের মন্দাভাব কাটছে না বান্দরবানে। প্রতিদিনই ক্ষতি গুনতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। এ অবস্থায় খরচ পোষাতে না পেরে বান্দরবানে অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলাজুড়ে কয়েকশ লোক পর্যটনখাতে বিনিয়োগ করেছেন। এসব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ঋণগ্রস্ত। গণপরিবহন, চাঁদের গাড়ি, বার্মিজ স্টোর, ইঞ্জিনচালিত বোট, থ্রি হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ, যা সম্পূর্ণ পর্যটকনির্ভর। তবে ২০১৯ সাল থেকে করোনাভাইরাস, জেলায় ভয়াবহ বন্যা, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে লাগাতারভাবে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

কয়েকমাস আগে সীমিত পরিসরে কিছু স্পট ভ্রমণের জন্য খুলে দিলেও দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসতে পারেনি। ফলে এখনকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোতে ব্যাপক ধস নামে। সবশেষ ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। যে কারণে ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে কর্মী ছাঁটাইসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী।

হোটেল ডিমোরের ম্যানেজার হ্যাপী মারমা জানান, তিন তারকামানের তাদের হোটেলটিতে দৈনিক অন্তত ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। পর্যটকের উপস্থতি না থাকায় হোটেলটি চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে।

রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মাস্টার জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিপার্শ্বিক কারণে পর্যটকের উপস্থিতি আশানুরূপ নয়। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। খরচ পোষাতে না পারায় এরইমধ্যে বেয়াই বাড়ি, কলাপাতাসহ জেলা সদরের প্রায় ২৫টি রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। ৩১ তারিখের পর চলতি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা না হলে আরও রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বান্দরবান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ক্রমান্বয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বান্দরবান জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। হোটেলের চলমান খরচ বহন করতে না পারায় অনেক হোটেলের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডিমোর, লাভা তংসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা না হলে অন্যান্য হোটেলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উম্মে কুলসুম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/এএসএম