যমুনার ভাঙনে নিশ্চিহ্নের পথে পাকরুল গ্রাম
জামালপুরের মাদারগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও নদীর তীরবর্তী বাঁধের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত দুই মাসের টানা ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, কবরস্থান, আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও শতাধিক ঘরবাড়ি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সরেজমিন দেখা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহের পাকরুল গ্রামে যমুনা নদীর পূর্ব তীরে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। এতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে পাকরুল গ্রাম। গত এক বছরে ভাঙনে পাঁচ শতাধিক বসতভিটা ও ৩০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে পাকরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, মসজিদ, কবরস্থান, পাকা সড়ক ও বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে ওই ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, কবরস্থান, তিনটি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও শতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙনরোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
পাকরুল গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যমুনা নদী আমাদের ফসলের জমি, রাস্তাঘাট, স্কুলসহ সব কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সব শেষ।’
জিয়াউর রহমান নামের আরেকজন বলেন, ‘আমরা এই গ্রামে অনেক মানুষ একসঙ্গে বসবাস করতাম। সব শেষ করে দিয়েছে এই নদীভাঙন।’
এ বিষয়ে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান বলেন, নদীভাঙন রোধে এরইমধ্যে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এসআর/জেআইএম