বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৭ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনের কারণে ৭ ঘণ্টা দুই দেশের পাসপোর্টযাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই দেশের কয়েক শ’ যাত্রী।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পেট্রাপোল বন্দরে আসায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শনি ও রোববার দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এ দুদিন বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখায় সহস্রাধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে মাছ, সবজি, শিশু খাদ্য, শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল।
এদিকে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় দুই দেশের চেকপোস্ট এলাকায় কয়েক শ’ পাসপোর্ট যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা এসেছেন ভারতে যাওয়ার জন্য। অথচ চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে এসে শুনছেন এখন ভারতে প্রবেশ করা যাবে না।
ভারতগামী যাত্রী অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন, চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য এসেছি। বেনাপোল চেকপোস্টে আসার পর শুনছি ২টার আগে ভারতে যাওয়া যাবে না। এখন শুনছি ৪টার পর যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে।
কমলা রানী নামে আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে আসছি। এসেই পড়েছি বড় বিপদে। ভারতের পেট্রাপোল বর্ডারে কী উদ্বোধন হবে। সেজন্য আমরা যেতে পারছি না।
পাসপোর্টধারী অনিতা ঘোষ জানান, ডাক্তার দেখাতে চেন্নাই যাবো। বিমানের টিকিট টাকা ছিল। হঠাৎ ইমিগ্রেশন বন্ধ করে দেওয়ায় আর বিমান ধরতে পারবো না। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও চিকিৎসার ক্ষতি হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহসান জানান, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানিয়েছে বন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনের জন্য সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন। তার নিরাপত্তার জন্য আমদানি-রপ্তানিসহ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দুদিন বাণিজ্য বন্ধ ও ৭ ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তবে বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
মো. জামাল হোসেন/আরএইচ/জেআইএম