ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঢাকা পাসপোর্ট অফিসের এডির বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ১০:৫৫ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী ইশরুফা আলম শোভা। তিনি বাদী হয়ে গত ১৫ অক্টোবর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি করেছেন (নং-সি.আর ৫৩৪/২০২৪)।

মামলায় অভিযুক্ত স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের তেচ্ছিপুল গ্রামের মো. ছালেহ আহমদের ছেলে।

বাদী ইশরুফা আলম শোভা একই উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী এলাকার কাজীপাড়া গ্রামের দিদারুল আলমের মেয়ে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ৬ মাস সুখেই কেটেছে দাম্পত্য জীবন। কিন্তু বছর পার না হতেই জাহাঙ্গীরের আসল রূপ বেরিয়ে আসে। তার প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর। প্রায় সময় তার সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি একান্ত সময় কাটান। এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হতে থাকে। এরই মধ্যে শোভা মা হওয়ার সংবাদ দেন স্বামীকে।

আরও উল্লেখ করা হয়, গর্ভে বাচ্চার খবর জেনে জাহাঙ্গীর ব্যবসার কথা বলে তার শশুরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলেন স্ত্রীকে। টাকা আনতে অপারগতা জানালে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তাদের পরিবারে ৬ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

এ ব্যাপারে শোভার শ্বশুর ছালেহ আহমদ বলেন, আমার ছেলে ও পুত্রবধূর কী ঘটেছে আমরা তেমন কিছু জানি না। ছেলে বউ নিয়ে চাকরিস্থল ঢাকায় থাকতো। বউকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করেছে কি না বা ছেলের অন্যত্র পরকীয়া প্রেম চলছে কি না আমরা কিছুই জানি না।

শোভার বাবা দিদারুল আলম জানান, আমার মেয়েকে বিয়ে করার কয়েক মাস পর থেকে শাকিলা নামে এক নারীকে জাহাঙ্গীর চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া করে রেখেছে। ছুটি পেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সেই নারীর কাছে এসে থেকে আবার ঢাকা চলে যেত। এসব জেনে মেনে নেওয়া যায় কি? লম্পট জামাইয়ের কারণে আমার ছোট্ট মেয়েটার জীবন নষ্ট হলো। বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। পরিচয় পর্বে তিনি জাহাঙ্গীর বলে স্বীকার করার পর দাম্পত্যজীবন ও স্ত্রীর মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে- রং নাম্বার উল্লেখ করে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর অনেকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সায়ীদ আলমগীর/এমএইচআর