নাগালের বাইরে বিদেশি ফল
জামালপুরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমদানি করা ফলের দাম। যথাযথ বাজার মনিটরিং না থাকায় বিদেশি ফল আঙুর, আপেল, মাল্টাসহ কমলার দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এসব ফল।
রোববার (২০ অক্টোবর) শহরের সকাল বাজার ও গেটপাড় ঘুরে দেখা যায়, বছরের ব্যবধানে কেজিতে মাল্টার দাম বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আঙুর ২০০ টাকা ও লাল আপেল ১২০ টাকা পর্যন্ত বর্ধিত দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট, সরকারি ট্যাক্স ও সঠিক সময়ে দেশে পণ্য না আসায় ফলের দাম বেড়েছে।
প্রতিকেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, সবুজ আঙুর ৫৫০ টাকা, কালো আঙুর ৪৪০ টাকা ও অস্ট্রেলিয় আপেল ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দিলসান জাতের লাল আপেল ৩৫০ টাকা, সবুজ আপেল ৩৪০ টাকা ও চায়না ফুজি আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। মানভেদে আনার ৫৮০-৬০০ টাকা, কমলা ৩৫০-৩৮০ টাকা, নাশপাতি ৪৫০ ও মাল্টা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ বছরখানেক আগেও প্রতিকেজি মাল্টা ২২০ টাকা, সবুজ আপেল ২৬০-২৮০ টাকা, লাল আপেল ২৫০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ার আপেল ২৪০, সবুজ আঙুর ৩০০ টাকা ও কালো আঙুর ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সকাল বাজারে ফল কিনতে আসা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘কয়েক মাস আগেও ২৫০ টাকা কেজি দরে আঙুর কিনেছি। ওরা এখন বলছে ৫৫০ টাকা। মাল্টার দামও অনেক বেশি। আপেল ছিল ১৮০-১৯০ টাকা। এখন ৩২০ টাকা বলছে। আগে যদি মানুষ ফল কিনতো ৩-৪ কেজি, এখন কেনে এককেজি। আল্লাহ্ যেভাবে সাধ্য দিয়েছে এখন সেইভাবেই খাবো।’
অটোরিকশাচালক আবুল মনসুর বলেন, ‘বাসায় হঠাৎ করে মেহমান আসছে। তাই দুইটা আপেল, দুইটা কমলা, দুইটা মাল্টা কিনলাম। ফলের যে দাম, আমরা সাধারণ মানুষদের সাধ্য হয় না এই ফল কিনে খাওয়ার।’
ফল ব্যবসায়ী মো. শুভ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা যে দামে কিনি তার চেয়ে ১৫-২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করি। আমাদের বেশি দামে কেনা পড়ে। এজন্য একটু বাড়িয়েই বিক্রি করতে হয়।’
গেটপাড়ের ফল ব্যবসায়ী সুজন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পণ্যের দাম অনেক বেশি। এজন্য সেরকম ক্রেতা নেই। আগে রিকশাওয়ালাও পরিবারের জন্য ফল কিনতো। এখন সাধারণ মানুষতো দূরের কথা, বড় বড় সরকারি চাকরিজীবীরাও ২-৩ কেজি ফল কেনেন না।’
জামালপুর ফল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, যেসব ফল দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি।
এসআর/জেআইএম