মাদারীপুরের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম
মাদারীপুরের আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম নেই। ফলে ক্রেতারা চাহিদামতো ডিম কিনতে পারছে না। এদিকে মূল্য বেঁধে দিলেও ক্রেতাদের বেশি দামেই ডিম কিনতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, জেলায় বড় ধরনের কোনো পোল্ট্রি ফার্ম নেই। তাই ডিম উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের অন্য জেলা থেকে ডিম সংগ্রহ করতে হয়। ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পাবনা, যশোর, খুলনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি ডিম কিনে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এসময় ডিম কিনতে হলে তাদের সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে কিনতে হয়। পরে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এসব কারণে মাদারীপুর জেলায় ডিমের সরবরাহ কম হচ্ছে। এতে ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো ডিম কিনতে পারছেন। একদিকে ডিমের দাম বেশি অন্যদিকে সরবরাহ কম থাকায় মাদারীপুরের সাধারণ ক্রেতাদের ডিম কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরান বাজারে ডিম কিনতে আসা দক্ষিণ থানতলী গ্রামের সেলিম হোসেন বলেন, মাছ, মাংস এমনকি তরকারির অনেক দাম। সামান্য বেতনে চাকরি করে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই অনেক সময় ডিম দিয়ে সংসারের সদস্যদের খাবার দিতে হয়। কিন্তু ডিমের যে দাম, তাতে ডিম কেনার সামর্থ্য নেই। অনেক দোকানে ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কারণ বাচ্চারা তো খালি ভাত খেতে চায় না। একটা ডিম হলে তবুও খেয়ে নেই। তাই সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত ডিমের দাম যেন কমে যায়, সেদিকে নজর দিতে।
মাদারীপুর শকুনি এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তুর্য বলেন, বর্তমানে ডিমের সরবরাহ কম থাকায় দামও বেশি। তাই বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে।
পুরান বাজারের হযরত শাহজালাল ট্রেডার্সের মালিক শাহ জামাল বলেন, জেলায় প্রতিদিন লাখ লাখ পিস ডিম প্রয়োজন। আমাদের অন্য জেলা থেকে ডিম কিনে আনতে হয়। তাই আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম সংগ্রহ করতে পারছি না। এতে আমাদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সবকিছুর খরচ বাদ দিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভের অংশ হিসেবে ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশা করছেন, তাই তারা ডিম সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছেন। শিগগির বাজারে ডিম সংকটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করছি এ সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/এএসএম