ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শহীদ সাগরের কবরে উড়ছে জাতীয় পতাকা, দেখা হলো না এইচএসসি রেজাল্ট

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহত হন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া এলাকার সন্তান সাগর গাজী। সেই সাগর জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে সাগরের পরিবারের মুখে কারও হাসি নেই। এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর শোকের সাগরে ভাসছে অসহায় পরিবারটি।

পটুয়াখালী উলানিয়া হাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন সাগর গাজী। তার বাবার নাম সিরাজুল গাজী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগর ছিলেন সবার ছোট।

ছাত্র আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় ঢাকার উত্তরায় চাচার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন সাগর। সেখান থেকেই আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। পরে নিহত হন।

শহীদ সাগরের কবরে উড়ছে জাতীয় পতাকা, দেখা হলো না এইচএসসি রেজাল্ট

রাজপথে লড়াইয়ের পাশাপাশি ফেসবুকেও সক্রিয় ছিলেন সাগর। ‘রুদ্র মাহমুদ’ নামে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট ছিল তার। ৪ আগস্ট সাগর তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আজ যদি আমি মারা যাই, বিজয়ের পর আমার কবরে একটা পতাকা দিয়েন’। এর ঠিক একদিন পর ৫ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হন তিনি। তাইতো সাগরের মরদেহ দাফনের পর থেকে তার কবরের পাশে একটি জাতীয় পতাকা গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে।

সাগরের বাবা সিরাজুল গাজী বলেন, ‘আমার তো সব শ্যাষ! ছেলেডা সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো। কারও সঙ্গে ওর খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমার ছেলে কইতো বড় হইয়া ইঞ্জিনিয়ার হইবে। আমগো ঘর উঠাইয়া দেবে। এখনতো ওর রেজাল্ট বাইর হইছে। ও বাইচা থাকলে কত আনন্দ হইতো!’

শহীদ সাগরের কবরে উড়ছে জাতীয় পতাকা, দেখা হলো না এইচএসসি রেজাল্ট

সাগর গাজীর প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে আঁকা হয়েছে গ্রাফিতি। যাতে লেখা হয়েছে ‘চালাও গুলি, যদি আমার রক্তে এ দেশে স্বাধীন হয়, সেই নতুন স্বাধীন দেশে আমি হয়ে থাকবো সকলের কাছে স্মৃতি।’

আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/এমএস