ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিক্রি করে দিলেন পলাতক চেয়ারম্যান
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে পরিষদ কমপ্লেক্সের অর্ধশতাধিক গাছ গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) থেকে জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার সকালে একদল শ্রমিক উপজেলার কাঞ্চনবাজারের চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরের মেহগনি, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা শুরু করেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ছোট-বড় প্রায় ৬০টি গাছ কাটা হয়। এরমধ্যে ১৮টি গাছ বড়। বাকিগুলো ছোট গাছ। খবর পেয়ে দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু কাওছার ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।
চরজব্বর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবু কাওছার অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিষদের গাছ কাটতে হলে সবার সম্মতিতে রেজুলেশন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান গত ৫ আগস্ট থেকে পরিষদে অনুপস্থিত থেকে গোপনে গাছগুলো বিক্রি করেছেন বলে ক্রেতা দাবি করেছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
গাছকাটা শ্রমিকরা জানান, কাঞ্চনবাজারের গাছ ব্যবসায়ী জসিম তাদের নিয়োগ করেছেন। চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই গাছগুলো কাটছিলেন তারা।
গাছ ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় ১৬টি গাছ কিনেছি। এরমধ্যে চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের কথামতো আরিফ নামের এক ব্যক্তির কাছে ৩০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেছি। বাকি টাকা পরে দেবো।’
তিনি বলেন, ‘১২টি গাছ কেটেছি, বাকি চারটি এখনো দাঁড়ানো আছে। তবে চেয়ারম্যান গাছ বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়ে তার পরিষদের কারও সঙ্গে কথা বলেছেন কি না তা আমি জানি না।’
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে পরিষদের সচিব বিপু লাল পাল বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়াকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, চেয়ারম্যান চাইলেই ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিক্রি করতে পারেন না। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম