ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাটোরে বরখাস্ত এসপির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ স্ত্রীর

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০৬:৪২ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নাটোরে বরখাস্ত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মেহনাজ আকতার আমিন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় তার দুই সন্তান ফাতিহা তাসনীম হক ও রাদিয়া ফিদান হকসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মেহনাজ আকতার আমিন অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর নাটোর সদরের জংলী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এস এম ফজলুল হকের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ ও ৮ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে র‌্যাবে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথা বলার ফোন আলাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে ফজলুল হককে সরকার শাস্তি দেয়। একই বছর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ সময় তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। বাঁধা দিলে তিনি স্ত্রী সন্তানদের মারধর শুরু করেন। ২০২৩ সালে ফজলুল হক পুনরায় ঠাকুরগাঁয়ে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে সেখানকার এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে আবারো পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে তোলেন। একটি ভাড়া বাসায় সেই নারীর সঙ্গে অবস্থান করার সময় স্ত্রী-সন্তানরা কৌশলে সেখানে উপস্থিত হলে ফজলুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।

অনিয়ম ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ তাকে আবারও বরখাস্ত করে। এ ঘটনার পর ফজলুল হক রাজশাহীর বাসায় এসে স্ত্রী সন্তানদের জোর করে অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। তার ভয়ে স্ত্রী সন্তানরা পুলিশ সদর দপ্তরে তদন্ত কমিটির সামনেও হাজির হতে পারেননি। ইতোমধ্যে ফজলুল হক সেই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে করে নাটোর শহরের মোহনপুরে বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে ফজলুল হকের স্ত্রী ও সন্তানরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হক বলেন, প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয়। আমি কখনোই পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলাম না। মেহনাজ আকতার আমিন নিজেই পরকীয়ায় লিপ্ত অভিযোগ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে প্রথম স্ত্রী নানাভাবে তাকে সমাজে অসম্মানিত করছেন।

রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/জেআইএম