ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাটোর

১৫ লাখ টাকা দাবি করে সর্বহারা পার্টির পরিচয়ে তিনজনকে চিঠি

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

নাটোরের গুরুদাসপুরে তিনজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে চিঠি দিয়েছে সর্বহারা পার্টির সদস্যরা। এ ঘটনায় উত্তম কুমার কুণ্ডু ও সোহেল আনোয়ার গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রোজী মোজাম্মেল কলেজের সংলগ্ন এলাকায় তিন ব্যক্তির বাড়ির গেটে এ চিঠি দেন তারা।

তারা হলেন- নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুণ্ডু, মকিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার ও ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার।

ওই চিঠিতে লেখা হয়- ‘আশাকরি মহান আল্লাহর দোয়ায় ভালোই আছেন। দোতলা বাড়ি, ছেলে, বউ সব মিলিয়ে ভালো। আমরা ভালো নাই। বছরের বেশির ভাগ সময় জেলে থাকি। আর যে বাকি সময় বাহিরে থাকি, সেটুকু সময় গরিব দুঃখীদের সাহায্য করি। আপনাকে পাঁচদিন সময় দেওয়া হলো। এই পাঁচদিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে রাখবেন। তাছাড়া আপনার ছেলেকে জবাই করে মাথা পাঠিয়ে দিবো আপনার বাসায়। পুলিশ কিংবা আইনের যে কোনো বাহিনী এক বছরের মধ্যে আমাদের ধরতে পারবে না। ততদিনে আপনার ছেলের গলাকাটা জবাই করা লাশ হয়ে যাবে। টাকা কোথায় কীভাবে দিবেন আমরা জানিয়ে দিব। (সর্বহারা)।’

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় একটি খাম দেখতে পাই। সেই খাম খুলে দেখি সর্বহারা শিরোনামে একটি চিঠি তাকে ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে। পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে তারা। না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার জানান, তিনি চিঠি পাওয়ার পরপরই থানা পুলিশকে অবগত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার জানান, তিনি ও তার পরিবার বেশ আতঙ্কিত চিঠি পাওয়ার পরে। এখনও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেননি। তবে অবগত করবেন বলে জানান। তার কাছেও পাঁচ লাখ টাকার দাবি করা হয়েছে পাঁচদিনের মধ্যে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, কিছু মাদকসেবী এসব কাজ করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছি। চুরি করতে না পেরে এ কৌশল ব্যবহার করেছেন তারা। দ্রুত এ চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/জিকেএস