ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হিলিতে দাম কমেছে কাঁচামরিচের, বেড়েছে পেঁয়াজের

উপজেলা প্রতিনিধি | হিলি (দিনাজপুর) | প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

দিনাজপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে পেয়াঁজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। একই সময় আমদানি বেশি হওয়ায় কাঁচামরিচের দাম কমেছে ৪০ টাকা। চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিন আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এদিন কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার খুচরা বাজারে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। মঙ্গলবার কেজিতে ৪০ টাকা কমে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মাসে (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ ও রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিকটন ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।

হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার একদিনে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে ৩৫ ট্রাকে ৩৫০ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার ৪৯ ট্রাকে ৪৩৮ মেট্রিক টন। একইদিনে ২২ ট্রাকে ৬১৭ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগের দিন সোমবার ১২ ট্রাকে ৩৩০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

কয়েকজন আমদানিকারক জানিয়েছেন, আজ বুধবার থেকে টানা ছয়দিন হিলি দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল পণ্য, তাই যতটুকু প্রয়োজন সেই মোতাবেক আমদানি করা হয়েছে। এ কারণে দামে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।

হিলি বাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় পেঁয়াজ এই বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। এ সপ্তাহে কিছুটা কম আমদানি হয়েছে। এ কারণেই বাজারে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে আমদানি বাড়লে দাম কমে আর আমদানি কমলে দাম বাড়ে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা হাফিজুর রহমান জানান, গত সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বন্দরের পাইকারি বাজারে মানভেদে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। এর একদিন আগে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যা একদিন আগে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে হলেও আজ কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বন্দরের পাইকারি বাজারে আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। পচনশীল পেঁয়াজ বন্দরে ৮৭ টাকা কেজি দরে কিনলে রাতের মধ্যে অনেক পচা পেঁয়াজ বের হয়। বস্তাপ্রতি ৩ থেকে ৫ কেজি পচা পেঁয়াজ বের হয়। এতে আমাদেরও লোকসান হয়। আমরা দুই এক টাকা লাভ রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করে থাকি।

হিলি বাজারের খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, সোমবার কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বন্দর দিয়ে প্রচুর প্ররিমাণ কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় কেজিতে ৪০ টাকা কমে আজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। টানা বৃষ্টি হওয়াতে কাঁচামরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দেশীয় কাঁচামরিচ এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা এখন আমদানিকৃত কাঁচামরিচ বিক্রি করছি।

মো.মাহাবুর রহমান/এফএ/এএসএম