নিহত ত্বকীর বাবা
শামীম ওসমানের লোকজনকে প্রশাসন পাহারা দিয়ে রাখছে
নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে শামীম ওসমানের লোকজন বসে আছে। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। শামীম ওসমানের কোনো লোকজন এখনো গ্রেফতার হয়নি। ১০-২০টি হত্যাকাণ্ডের পরও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। প্রশাসন তাদের পাহারা দিয়ে রেখেছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৩৯ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ত্বকী হত্যার বিচার কার্যক্রম আটকে থাকার পর অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছার কারণে ত্বকী হত্যার বিচার পুনরায় শুরু হয়েছে। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তদন্তকারী সংস্থা র্যাব নতুন করে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান জড়িত। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুনছি ওসমান পরিবারের সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। যদি তারা পালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কে দিলেন? যারা তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করলেন সেসব সহযোগী এই সরকারের বিভিন্ন স্থানে যুক্ত রয়েছেন। আমরা সংশয় নিয়ে বলছি ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সব তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারবো কতটা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে রাব্বী বলেন, আমরা ত্বকী হত্যার বিচারের সঙ্গে সাগর-রুনী হত্যার বিচার চেয়েছি। আশিক, বুল, চঞ্চলসহ ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছি। আমরা এসব বিচার দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে দেখতে চাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শঙ্কর রায়, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। এরপর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদী সংলগ্ন কুমুদিনী খাল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/জেডএইচ/এমএস