ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শরীয়তপুর

খানাখন্দে ভরা ১৩ কিলোমিটার সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। জাজিরা টিএন্ডটি মোড় থেকে এক্সপ্রেসওয়ের গোল চত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়ক ব্যবহারকারীরা। সামান্য বৃষ্টিতেই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট এবং জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে এক হাজার ৬৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতুর গোল চত্বর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কটির টেন্ডার দেয় শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ। এরমধ্যে সদর থেকে জাজিরা টিএন্ডটি পর্যন্ত একটি অংশের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ এগিয়ে গেলেও চরম ধীরগতি টিএন্ডটি মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত বাকি সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশের নির্মাণ কাজ। হচ্ছে না কোনো ধরনের সংস্কারও। ফলে বর্ষা ও ভারী যানবাহনের চাপে ১৬ ফুটের সড়ক ভেঙে চলে এসেছে ৮ ফুটে।

খানাখন্দে ভরা ১৩ কিলোমিটার সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

আবার কোথাও নেই সড়কের চিহ্নটুকু পর্যন্ত। এতে এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন। এছাড়া যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, ১২৪ কোটির টাকার সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কটির দুবার কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে।

ঢাকাগামী যাত্রী ফজলুল হক বলেন, পদ্মা সেতুর খুব কাছাকাছি আমাদের এই শরীয়তপুর শহর। পদ্মা সেতুর চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য জেলার সড়ক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সেতু চালুর দুই বছর পার হলেও সড়কের অবস্থা একই রয়ে গেছে। আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি চাই।

মারুফ হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, আমাদের সড়কের অবস্থা পদ্মা সেতুর ঢেউয়ের মতো। সড়ক তো নয়, যেন এক একটি ডোবা। হেলে দুলে গাড়ি চলতে হয়। গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা চাইলেও দ্রুত ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে আর শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় যেতে পারি না।

খানাখন্দে ভরা ১৩ কিলোমিটার সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

বাসচালক আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের নতুন গাড়ির যন্ত্রাংশ যেখানে পাঁচ বছর ভালো থাকার কথা, সেখানে দুই বছরেই সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি চাকা লিক হচ্ছে, পাত ভেঙে যাচ্ছে। এক কথায় এই রুটে গাড়ি চালিয়ে আমাদের লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি। নতুন সরকারের কাছে একটাই দাবি দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করা হোক।

এ ব্যাপারে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের দ্বিতীয় অংশের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হলেও বর্ষা মৌসুম চলে আসায় সংস্কার কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বেশ কিছু জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাঙা অংশগুলো দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বিধান মজুমদার অনি/জেডএইচ/এমএস