নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বি চৌধুরী
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চতুর্থ দফা জানাজা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও চিকিৎসক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে দাফন করা হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়হাটায় চতুর্থ দফায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা উঠলেও শেষ পর্যন্ত শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী সামাজিক কবরস্থানেই দাফন করা হয় সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে।
এরআগে দুপুরে গ্রামের বাড়ি মজিদপুর-দয়হাটায় বি চৌধুরীর মরদেহ পৌঁছালে শোকাবহ অবস্থা তৈরি হয়। শেষ বিদায়ে এই রাজনীতিবিদকে দেখতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
সকালে মুন্সিগঞ্জে পৌঁছায় বি চৌধুরীর মরদেহ। সকাল ১০টায় শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জানাজা। এতে মানুষের ঢল নামে। জানাজায় অংশ নেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এসময় বি চৌধুরীর ছেলে সাবেক এমপি মাহি বি চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন বিক্রমপুরের মানুষকে ভালোবেসেছেন। দলমত নয়, ওনার কাছে কেউ যদি বলতেন বিক্রমপুরের মানুষ, তাকে বুকে টেনে নিতেন।’
তিনি আরও বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল বিক্রমপুরে তাকে সমাহিত করা হোক। তার মৃত্যুতে বড় কোনো আয়োজন যেন না থাকে।
মেয়ে ডা. শায়লা শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাবার শূন্যতা পূরণ হওয়ার মতো নয়। সবসময় মানুষকে ভালোবেসেছেন। আমাদেরও শিখিয়েছেন মানুষকে ভালোবাসতে হবে।’
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বি চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবলীগকর্মীর মারধর, প্রাণ গেলো মুদিদোকানির
- ২ অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলে সংঘর্ষ, দুই কলেজছাত্র নিহত
- ৩ মিছিল শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সাবেক যুবদল নেতা
- ৪ খালের কচুরিপানায় লুকিয়ে ছিলেন আসামি, ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ধরলো পুলিশ
- ৫ নাগরিকরা রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চায়: উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়