নির্বাচনের আগের রাতে যুবলীগ নেতা খুন
চট্টগ্রামে নির্বাচনে সহিংসতার জন্য অস্ত্রের ভাগাভাগি করতে গিয়ে গুলিতে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত যুবলীগ নেতার নাম নুরে এলাহী জুয়েল (৩২)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর সরকারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মসিউদ্দৌলা রেজা খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জুয়েলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলো সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবারের (৭ মে) নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আফছারের পক্ষে অস্ত্রের মুজদ করে দলীয় ক্যাডাররা। রাতে অস্ত্র ভাগ-ভাটোয়ারা করতে গিয়ে সতীর্থদের হাতে থাকা অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়ে গেলে জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে হাটহাজারী আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তাররা তাকে ভর্তি করাতে রাজি না হওয়ায় নন্দিরহাটস্থ ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাকে ভর্তি করানো হয়নি। এরপর জুয়েলকে নিয়ে যাওয়া হয় চমেক হাসপাতালে। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মী জানান, নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারাভিযানের শেষে রাত ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেল র্যালি বের করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল আফসারের সমর্থকরা। র্যালিটি মির্জাপুরের সরকারহাট বাজারের কাছে পৌঁছালে তা লক্ষ্য করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এতে জুয়েল গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিএনপির প্রার্থী রহিম চেয়ারম্যানের লোকজন জুয়েলকে গুলি করেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এ বিষয়ে জানার জন্য স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে অস্ত্র ভাগাভাগি করতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জুয়েল। এ ঘটনার পর সরকারহাট ও মির্জাপুর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুরিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান এএসপি সার্কেল মসিহ উদদৌলা রেজা। নিহত জুয়েল মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
জীবন মুছা/বিএ