ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘ডুবে মরতে চাই না, বেড়িবাঁধ চাই’

উপজেলা প্রতিনিধি | কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রায় ৪০ বছর ধরে জোয়ারে ভেসে আর বন্যায় ডুবে জীবন পার করছে ২৫০টি পরিবার। নিজেদের বসতভিটা রক্ষায় এবার পানির মধ্যে দাঁড়িয়েই ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ জানালেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন থেকে রক্ষায় বাড়িঘর, চলাচলের রাস্তাঘাট নির্মাণের দাবিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মোল্লা, শাহীন মোল্লা, সোহেল মোল্লা, ভুক্তভোগী কৃষক মোশারফ হাওলাদার, বেল্লাল হোসেন, হালিমা আয়েশা, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রায় ৪০ বছর ধরে জোয়ারে ভেসে আর বন্যায় ডুবে জীবন পার করছে ২৫০টি পরিবার। নিজেদের বসতভিটা রক্ষায়

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সোহেল মোল্লা বলেন, ‘আমাদের প্রায় ২০০ একর জমি তলিয়ে থাকে। তিন ফসলি এই জমি অথচ আমরা এক ফসলও চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। আমাদের এখানে একটা টেকসই বেড়িবাঁধ খুবই প্রয়োজন।’

হালিমা আয়েশা বলেন, ‘আমরা এই এলাকার কয়েকজন স্বেচ্ছাসেববক মিলে দীর্ঘ দুইমাস ধরে একটি গবেষণা করেছি। আমাদের গবেষণায় এলাকার বিভিন্ন সমস্যা উঠে এসেছে। যার মধ্যে কৃষি উৎপাদন ও যাতায়াত সমস্যা রয়েছে। বাচ্চারা স্কুলে যেতে অনাগ্রহী। সুচিকিৎসার অভাব। সবকিছুর মূলে গিয়ে একটা সমস্যা পেয়েছি তা হলো টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকা। আমরা টেকসই বাঁধ চাই।’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রায় ৪০ বছর ধরে জোয়ারে ভেসে আর বন্যায় ডুবে জীবন পার করছে ২৫০টি পরিবার। নিজেদের বসতভিটা রক্ষায়

মেহেদী হাসান নামের আরেকজন বলেন, এখানে প্রায় ২৫০টি পরিবার রয়েছে। জোয়ার এলেই ঘরে পানি উঠে যায়। ঘূর্ণিঝড় আর বর্ষার সময় দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এখানকার মানুষগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম