ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদারীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাদারীপুরে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এছাড়া জ্বর ও ঠান্ডার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। এসব রোগে আক্রান্তের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি। এরই মধ্যে মাদারীপুরে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজণিত নানা সমস্যা নিয়ে শতাধিক রোগী ভর্তি আছেন।

হাসপাতাল, রোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী ভর্তি। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি এসব রোগ নিয়ে বহির্বিভাগেও ভিড় দেখা যায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবনে ছয়টি আসন থাকলেও বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৩২টি করা হয়েছে। তবুও রোগীদের বেড পেতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া অন্য রোগীদের হাসপাতালের নতুন ভবনে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

মাদারীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

শহরের রাস্তি এলাকা থেকে আসা শিশু রোগী সিয়ামের মা সিমা বেগম বলেন, গত দুদিন ধরে আমার দুই বছরের ছেলে ডায়রিয়া আক্রান্ত। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার আকলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের বয়স সাত বছর। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসা হাজীর হাওলা গ্রামের মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও সর্দি নিয়ে ভুগছি। তাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

মাদারীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স কল্যাণী সরকার বলেন, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তারপরও আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আসনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি।

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, পানিবাহিত রোগ দেখা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। এছাড়া উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও পরামর্শ নিতে হবে। তবে বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সব রোগীদের আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছি।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেডএইচ/এএসএম