ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পদ্মায় বিলীন বিদ্যালয়-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাইক্লোন সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের প্রায় ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বাঁধ ভেঙে ডুবে গেছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থাপনা পদ্মায় বিলীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি বিলীন-ভাঙন দেখা দিয়েছে। সব শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুটি মসজিদ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।

পদ্মায় বিলীন বিদ্যালয়-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর নারায়ণপুর ইউনিয়নের দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ সেপ্টেম্বর সরদাপাড়া সাইক্লোন সেন্টার ও পাঁচটি মসজিদ, ১৯ সেপ্টেম্বর ঘোষপাড়া নারায়ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ও নারায়ণপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এছাড়াও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে নারায়ণপুর ইউনিয়নের অন্তত ৫০০ ঘরবাড়ী।

অপরদিকে, ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেড় হাজার বসতবাড়ি। এতে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা।

পদ্মায় বিলীন বিদ্যালয়-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা

এদিকে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার একর কালাইয়ের ক্ষেতসহ শত বিঘা জমির ফসল।
নারায়ণপুর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছর ভাঙনের কবলে পড়ি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এবার ভাঙনের প্রভাব বেশি। আমার বাড়ি অনেক আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। থাকার যায়গা নেই। কোনো রকমে দুইটি গরু নিয়ে এক টিনের চালা তুলে বসবাস করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহ আগেই বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে অন্যের আম গাছের নিচে একটি টিনের চালা তুলে বসবাস করছি। গরু-ছাগল নিয়ে কোথায় যাব। কি খাব কিছুই নেই। সব শেষ।

শরিফুল ইসলাম নামে এক কৃষক বলেন, তিন বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিলাম। এক সপ্তাহ আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এসব জমি।

পদ্মায় বিলীন বিদ্যালয়-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা

নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চরাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রতিবছর বন্যর ভাঙনের কবলে পড়ি। এবারও পড়েছি। এখন পর্যন্ত সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাইক্লোন সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। ইউনিয়নেই প্রায় পাঁচশ পরিবার এখনো পানিবন্দী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুন বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণসহ ক্ষতিগ্রস্থদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

সোহান মাহমুদ/এএইচ/জিকেএস