ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রণোদনার আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দিলেন মাদরাসা সুপার

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রণোদনার আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দিয়েছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা জেএসডি দাখিল মাদরাসার সুপার এম এ শহিদ মিয়া। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদরাসার অফিস কক্ষে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আশরাফুর রহমানের মাধ্যমে এ অর্থ ফেরত দেন তিনি।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতাভুক্ত পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় গত বছরে বারাংকুলা জেএসডি দাখিল মাদরাসায় পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু অনুদানের সেই টাকার একটি অংশ নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে মাদরাসা সুপার এম এ শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীনের কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ইউএনও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এম এম ওয়াহিদুজ্জামানকে নিয়োগ দেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা অধিকতর তদন্ত করে এক লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ টাকার গড়মিল খুঁজে পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর মাদরাসা সুপারকে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।

এদিকে মাদরাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পদত্যাগের জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

এ ব্যাপারে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দ সোয়াইব বলেন, আত্মসাৎকৃত অর্থ আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ আমরা আগে দুর্নীতিবাজ সুপারের পদত্যাগ চাই। পদত্যাগের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পদত্যাগ না করলে আরও তীব্র আন্দোলন করা হবে।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সুপার এম এ শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার সাময়িক বরখাস্তও হয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুপার এম এ শহিদ মিয়া বলেন, ইউএনও টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের মাধ্যমে টাকা ফেরত দিয়েছি।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীন বলেন, মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পর বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে আর্থিক গড়মিল পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অর্থ আদায় পূর্বক সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/এএসএম