ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তদন্ত কমিটি গঠন

আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানকে পরিষদের চেয়ারে বসালেন বিএনপি নেতা

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আত্মগোপনে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খানকে পরিষদের চেয়ারে বসানোর অভিযোগ ওঠেছে বিএনপি নেতা আবু হানিফ খানের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছেন উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

আবু হানিফ খান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত শনিবার বিএনপির সমর্থনে উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ দেড় মাস আত্মগোপনে থাকার পর ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিএনপি নেতা আবু হানিফ খানের নেতৃত্বে আব্দুল হান্নান খানকে চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে বসানো হয়। এদিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওই ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের এমন শীর্ষ নেতাকে বিএনপির নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে বসানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িতে পড়ে।

ওই ছবিতে দেখা যায়, আব্দুল হান্নান তার নির্ধারিত চেয়ারে বসে পরিষদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করছেন। তার বাম পাশেই লাল পাঞ্জাবি পরে চেয়ারে বসে আছেন আবু হানিফ খান। এছাড়া টেবিলের সামনের চেয়ারে রয়েছেন আওয়ামী সমর্থিত পরিষদের সদস্যরা।

বিএনপি নেতা আবু হানিফ তার নেতৃত্বে চেয়ারে বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ব্যক্তিগত একটি প্রয়োজনে পরিষদে গিয়েছিলাম। পরে চেয়ার ফাঁকা না থাকায় চেয়ারম্যানের অনুরোধে তার পাশেই বসি।

এখানে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকে চেয়ারে বসানো হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম এ মালেক/জেডএইচ/জিকেএস