কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, ভেঙে ফেলা হলো হাত-পা
কুষ্টিয়ার খোকসায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম ও হাত-পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউনিয়নের শেখপাড়া বিহারীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যানের নাম মজিবর রহমান। তিনি জানিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আহত চেয়ারম্যানের ভাই শহিদুর রহমান জানান, ২০১২ সাল থেকেই ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিপক্ষ শামীম গ্রুপের রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে ভাইকে থামতে বলে শামীম। এ সময় শামীমের নেতৃত্বে লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়।
এসময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক হাত, এক পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যানের স্ত্রী আফরোজা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে মাছ চাষের পুকুরে যাচ্ছিলেন চেয়ারম্যান মজিদ। পথিমধ্যে শেখপাড়া বিহারীয়া গ্রামের ফকির মন্ডলের ছেলে ফজলু মন্ডল (৩৫) ও হাসিব (২৪), ফজলু মন্ডলের ছেলে রাফাত (২৩), কুদ্দুসের ছেলে সাবু (২৪) ও তমছেলের ছেলে জনি (২৭) মোটরসাইকেল আটকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে খোকসা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের ওপর প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন হামলা চালিয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আল-মামুন সাগর/এএইচ/এএসএম