আন্দোলনে হামলা
নড়াইলে ১০২ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাতপরিচয় আসামি ১৫০
নড়াইলের লোহাগড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন পৌরসভার মশাগুনি গ্রামের আজিবর মল্লিকের ছেলে শহিদুল মল্লিক। মামলা নম্বর ১১।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমকে প্রধান আসামি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ার রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র বিশ্বনাথ দাস ভন্ডুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটু, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শিহানুক রহমান, লাহুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরান সিকদার, জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিওন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ শেখ, সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া সিএন্ডবি চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্মতা জানায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা, লাঠি, ছোরা, শটগান, বন্দুক, পিস্তল ও হাত বোমাসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশে বাদী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করে ও বেধড়ক মারপিট করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসময় এনপিপির চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের বাড়িসহ বিএনপির অন্য নেতাকর্মীদের বাড়ির গেট ভাঙচুর করে। ভাঙচুর চালিয়ে আসামিরা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়াও তারা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করেন এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।
হাফিজুল নিলু/এমকেআর/এমএস