ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আরও এক হত্যা মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় আনিসুল হক ছাড়াও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এবং বিজিবি সরাইল ১২ ব্যাটালিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (সিইইউ) মেজর এরশাদকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আফরিন আহমেদ আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ উপজেলা পরিষদের ভোট চলাকালে একটি ভোটকেন্দ্রে গুলিতে আবদুল হাদিস (৪২) নামের একজন নিহত হন। নিহত হাদিসের বড় ভাই আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া, তাকজিল খলিফা কাজলের ভাই ফুরকান খলিফা, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া, উপজেলার তারাগনের জুয়েল খান, নাহিদ খান ও উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা নাছির মিয়া। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় আবুল কাশেম আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান করছিলেন। ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌরমেয়র তাকজিল খলিফাকে ফোনে জানান। আনিসুল ও তাকজিল সেসময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে নির্দেশ দেন।
বিজিবির তৎকালীন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রাইফেল দিয়ে গুলি করেন। বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাদিস ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাকে ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস