মামুনুল হক
সংখ্যালঘুদের রাতে ছোবল মেরে দিনে ওঝা হয়ে ঝাড়তো আ’লীগ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন। তাদের মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আর হামলা হয় না। আওয়ামী লীগ রাতে কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারতো আর দিনে ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসতো। এই নাটক করেছে আওয়ামী লীগ। ওই নাটকের কলা কুশিলবরা এখন বাংলাদেশের দৃশ্যপটে নেই, এ জন্যই এখন আর নাটকও নেই।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবাদবিরোধী সমাবেশে এসব কথা তিনি।
মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা আর বৈষম্যের রাজনীতি করেছে। আওয়ামী লীগ মোনাফেক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর পূনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না। সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশে স্থাপন হয়েছে, এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোনোদিনও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভালো রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছিল। তখন হেফাজত ইসলামের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে প্রায় ২০-৩০ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশ থেকে আল্লাহ পাক শেখ হাসিনাকে অপসারণ করে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশে পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার আবার বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অন্য দেশের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ৭২ এ সংবিধান করে ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এছাড়া গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান।
জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান, সেক্রেটারি মাওলানা কামরুল হাসানসহ জেলা খেলাফত মজলিস, যুব মজলিস ও ছাত্র মজলিসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/এএসএম