ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাসপাতাল থেকে কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিক

জেলা প্রতিনিধি | সিলেট | প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসামানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দেয়। তিনি হাসপাতালে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তী বলেন, তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারায় মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি মানিককে হাসপাতাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মালায় যখন যেখানে শুনানির জন্য চাওয়া হবে তখন সেখানে পাঠানো হবে।

কারা সূত্র জানায়, ঢাকার আদাবর থানায় পোশাকশ্রমিক হত্যার ঘটনায় করা মামলায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শুনানির জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেদিন তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড ছাড়পত্র দেয়নি।

উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট রাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বিজিবি। পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আদালতে প্রবেশের সময় বিক্ষোব্দ জনতা তাকে মারধর ও ডিম-জুতা নিক্ষেপ করেন। পরে আদালতের আদেশে সেখান থেকে কারাগারে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। মারধরের কারণে তার একটি অণ্ডকোষ ফেটে যায় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

আহমেদ জামিল/এএইচ/জেআইএম