ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১৬ প্রভাষকের লেখা এক দরখাস্তে ১৬ বানান ভুল!

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লেখা একটি অভিযোগপত্রে সই করেছেন ১৬ জন প্রভাষক। অবাক করার বিষয় হলো ওই অভিযাগপত্রে ১৬টি বানানই ভুল। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

১৬ প্রভাষকের লেখা এক দরখাস্তে ১৬ বানান ভুল!

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৬ দফা দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর অভিযোগ করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবির পক্ষে শিক্ষকদের কাছে সই নিতে যান শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষকরা সই না করায় তাদের হেনস্তা করেন তারা। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। পরে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক মিলে অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অপসারণ দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। সেই লিখিত অভিযোগে ১৬টি বানান ভুল পাওয়া গেছে।

অভিযোগপত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি পড়ে দেখা যায়, অপসারণ, স্বাক্ষরকারীগণ, অংশগ্রহণ, ভুগছি, পরিস্থিতি, শিক্ষকগণ, ষড়যন্ত্র, প্রবাহিত, দুর্নীতি, বৈষম্য, প্রভাষকগণ, উদ্ভূত বানান ভুল লেখা। তারা লিখেছেন, অপসারন, স্বাক্ষরকারীগন, অংশগ্রহন, ভূগিতেছি, পরিসিস্থিতি, শিক্ষকগন, ষরযন্ত্র, প্রবাহীত, দুর্নিতি, বিষম্য, উদ্ভুত এবং প্রভাষকগন। এছাড়া সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ রয়েছে।

১৬ প্রভাষকের লেখা এক দরখাস্তে ১৬ বানান ভুল!

গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘১৬ প্রভাষক মিলে অল্প কয়েক লাইনের একটা দরখাস্তে এতগুলো ভুল বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দরখাস্তটি পড়ে স্যারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।’

অভিযোগপত্রে সইকারী প্রভাষক শিখা রানী সরকার বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি না পড়েই আমি কামরুজ্জামান স্যারের কথায় সই করেছি।’

১৬ প্রভাষকের লেখা এক দরখাস্তে ১৬ বানান ভুল!

এ বিষয়ে প্রভাষক কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কম্পিউটারে অদক্ষতার কারণে বানানগুলো ভুল হয়েছে। বয়স বেশি হওয়ায় চশমা ছাড়া দেখতে পারি না। এজন্য হয়তোবা ভুল হয়েছে।’

গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ১৬ দফা দাবির বিষয়ে নিয়েছিলাম। এ বিষয়ে কলেজ শাখার শিক্ষকরা বিরোধিতা করেন। কলেজ শাখার প্রভাষক কামরুজ্জামান আমার পদে আসতে চান। তাই তিনি আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছেন।’

১৬ প্রভাষকের লেখা এক দরখাস্তে ১৬ বানান ভুল!

ডিমলা ইউএনও উম্মে সালমা জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর তদন্ত চলছে।

ইব্রাহিম সুজন/এসআর/এমএস