ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুষ্টিয়া

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

জেলা প্রতিনিধি | কুষ্টিয়া | প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রতন, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ, ছাত্রদল নেতা পারভেজ। তারা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। সাব-রেজিস্ট্রার ও দালাল চক্রের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক প্রতি দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য ২৫০০ টাকা বেশি আদায় করা হয়। নামের ভুল থাকলে ঘুস দিতে হয়। পরিচয়পত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করাতে ৫০০-১০০০ টাকা দিতে হয়। দলিলের দাম বেশি নেওয়া হয় ও প্রতিটি সেবার জন্য পদে পদে ঘুস দিতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি চাঁদাবাজি করে আসছিল। তারা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে। কয়েকদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সাবরেজিস্টার অফিস দখলসহ চাঁদাবাজির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত কর্নেল বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত দালাল চক্র এ সাব রেজিস্টার অফিসে দুর্নীতি অনিয়ম ও চাঁদাবাজি করতো। ৫ আগস্ট নতুন করে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের সেসব নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এখন বিএনপির একটা পক্ষ চাঁদাবাজির করে আসছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছেন।

এ বিষয়ে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ওদের চাচা-ভাতিজার পারিবারিক ঝামেলা। কোনো বিষয় নয়। তবে তারা সবাই বিএনপি করে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল-মামুন সাগর/আরএইচ/জেআইএম