গুলিতে নিহত
দাফনের এক মাসের মাথায় কবর থেকে ওসমানের মরদেহ উত্তোলন
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত ওসমান গণি (২৩) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের এক মাসের মাথায় আদালতের নির্দেশে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল সদর আদালতের নির্দেশে রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমানের উপস্থিতিতে ওসমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সহকারী কমিশনারের তত্ত্বাবধানেই ফের মরদেহ দাফন করা হবে।
সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের তমিজ মার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে ওসমান গণিসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। পরে একইদিন ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে গণির মরদেহ দাফন করেন স্বজনরা।
নিহত ওসমান রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাসাবাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ বলেন, বিচারিক আদালতের নির্দেশে শহীদ ওসমানের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের উপস্থিতিতে তার মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে।
সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ৪ আগস্ট ওসমান-সাব্বির নিহতের ঘটনায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া ১৪ আগস্ট অপর নিহত সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
কাজল কায়েস/এসআর/এএসএম