ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্বামী পেয়েছেন গ্রিন পাসপোর্ট, ইতালি যাওয়া হলো না তানিয়ার

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রবাসী স্বামী ইতালির গ্রিন পাসপোর্ট পেয়েছেন। আট বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে প্রবাসী স্বামীর কাছে যাবেন তানিয়া আফরোজ (২৮)। সবকিছু ঠিকঠাক। ভিসার কাজে মা তহুরা বেগমকে (৫৫) নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তবে তানিয়ার ইতালি যাওয়া আর হলো না। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মা-মেয়ের।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ অংশের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি এলাকায় তাদের বহনকারী যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১০ জন।

নিহত তানিয়া আফরোজ খুলনা শহরের শিপইয়ার্ড স্কুলের সাবেক শিক্ষক আবু হাসানের মেয়ে। তার শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। স্বামীর নাম আসলাম উদ্দিন কুদ্দুস। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে। সম্প্রতি দেশটির গ্রিন পাসপোর্ট পেয়েছেন।

রোববার দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে এসে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তানিয়া আফরোজের স্বজন রেজা।

তিনি বলেন, ‘তানিয়া আমার কাজিন। ওর আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ওর স্বামী ইতালিতে সদ্য গ্রিন পাসপোর্ট পেয়েছে। তানিয়া তার স্বামীর কাছে চলে যাবে কিছুদিনের মধ্যে এমন কথা ছিল। সব ঠিকঠাক। আজ ঢাকায় যাচ্ছিল ভিসার কাজে। ওর মেয়েকে বাবার বাসায় রেখে মাকে সঙ্গে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে ৬টায় ইমাদ পরিবহনের একটি গাড়িতে রওয়ানা হয়। সাড়ে ৮টার পর আমরা খবর পাই তাদের গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে। তখনো জানতাম না তানিয়া কিংবা তার মা মারা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় কাজ শেষ করে বিকেলেই ফেরার কথা ছিল তাদের। এখন ফিরবে লাশ হয়ে। আমরা পুলিশের কাছ থেকে লাশ বুঝে নেওয়ার জন্য এসেছি।’

এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও ১০ জন। এদের মধ্যে চিকিৎসারত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়জনে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন কাশিয়ানী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনমাস্টার রেজাউল মাওলা ও কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মিয়া।

নিহতদের মধ্যে বাকি চারজন হলেন গোপালগঞ্জ সদরের সুলতানশাহী গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে রহিজ শেখ (২৪), সাতক্ষীরা সদরের সাতালী গ্রামের সৈয়দ এরশাদ আলীর ছেলে সৈয়দ সামাদ আলী (৩১), বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ গাজীর ছেলে সাইদুর রহমান (৪৪) ও একই জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সারুলিয়া গ্রামের হাছির মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যা (২৪)।

এসআর/জিকেএস