ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তিন দফা ফসল হারিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে হাওরের কৃষকরা

জেলা প্রতিনিধি | সুনামগঞ্জ | প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছর চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। চলতি বছর তিনদফা বন্যায় একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে ঘরবাড়ি বানের পানিতে ভেঙে যাওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা। তবে সব হারিয়েও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মাঠে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। নতুন করে আবারো রোপণ করছেন স্বপ্নের ফসল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হয় সুনামগঞ্জের কৃষকদের। কারণ এখানকার কৃষি ও অর্থনীতি বারবার ধাক্কা খায় বন্যায়। এ বছরও তিন দফার বন্যায় সুনামগঞ্জের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমানে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় কাটছে হাওর পাড়ের কৃষকদের।

সদর উপজেলার কোরবান নগর ইউনিয়নের কৃষক আরশাদ আলী জানান, প্রতিবছর বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়। এই বছরও ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু কৃষি বিভাগ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা আমরা পাই না। এখন চড়া সুধে ঋণ এনে আবার ফসল করছি।

তিন দফা ফসল হারিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে হাওরের কৃষকরা

শুধু আরশাদ আলী নয়, নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ কৃষক আমন ধান রোপণ করতে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন। কেউ ধান লাগাচ্ছেন, কেউ বা ফসলের মাঠে পড়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করছেন। এই ধান যদি কৃষক ঘরে তুলতে পারেন তাহলে একদিকে যেমন ঋণের বোঝা কমবে অন্যদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

হাওরের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক মতলব আলী, জমির হোসেন ও ছমির মিয়া বলেন, প্রতিবছর বন্যায় ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষি বিভাগ থেকে তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। সেইসঙ্গে বর্তমানে আমন ধান করতেও তাদের বাড়তি দামে সার বীজ কিনতে হচ্ছে।

তিন দফা ফসল হারিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে হাওরের কৃষকরা

এদিকে সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর সুনামগঞ্জে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৩শ হেক্টর। এরইমধ্যে ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। যেখান থেকে ধান উৎপাদন হবে ২ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিকটন।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে সার বীজ যাতে কৃষকরা ন্যাযমূল্যে কিনতে পারে সেদিকে আমরা নজরদারি রাখছি। চলতি বছর আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রায় হাজার কোটি টাকার রোপা আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।

এফএ/এমএস