ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিএনপি অফিসে দোকান খুলে ব্যবসা, ‘সরি’ বলে ফেরত দিলেন জেলা প্রশাসক

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৪

গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জুর জমি ও জেলা বিএনপির কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে দখলে ছিল জেলা প্রশাসনের। অবশেষে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিএনপির ওই নেতাকে ‘সরি’ বলে সেই জমি ফেরত দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের শুরুতে ওই জমি দখলে নিয়ে দোকান দেন সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম ও সদর উপজেলার ইউএনও মো. মহসীন উদ্দীন। সেখানে জেলা প্রশাসনের ব্যানারে ‘কালেক্টর বাজার’ নামে সুপার শপ খুলে ব্যবসা করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় ৭ শতাংশ জায়গার ওপর অবস্থিত দোতলা ভবনে ৪০ বছর আগে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএইচ খান মঞ্জু। পরে ২০০০ সাল থেকে ভবনটি জেলা বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর ভবনটিতে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালান আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। এরপর থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল জমি ও ভবনটি।

২০২০ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক শাহিদা সুলতানা সরকারি জমি দখলমুক্ত ও উচ্ছেদ অভিযানের নামে জমি ও ভবনটি দখলে নেন। এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকে পুনরায় জমিটি দখল করে প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা খুলে বসেন সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম ও সদর উপজেলার বর্তমান ইউএনও মো. মহসীন উদ্দীন। ‘কালেক্টর বাজার’ নামে সুপার শপ খোলা হয় সেখানে। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমির মালিক এমএইচ খান মঞ্জুকে ‘সরি’ বলে দখল তুলে নেন সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

স্থানীয় আলম শেখ বলেন, “অনেক বছর ধরে এটা বিএনপির অফিস হিসেবে দেখেছি। ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর এই অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। গত কয়েকমাস ধরে দেখছি এখানে ‘কালেক্টর বাজার’ নামে একটি সুপার শপ। এখন আবার দেখছি সেই বিএনপি নেতা মঞ্জু খানের দখলে জমি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু বলেন, “আমার জমি জোর করে দখল করেছিলেন জেলা প্রশাসক ও ইউএনও। সরকার পতনের আগেও বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলাম। তখন আমাকে মামলার ভয় দেখানো হয়েছিল। সরকার পতনের পর সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম আমাকে ‘সরি’ বলে আমার জমি থেকে দখল তুলে নিয়েছেন। এখন জমি আমার দখলে আছে।”

সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাকে আর এইটার ভেতর টেনে নিয়েন না। আমার এমনিতেই বদলি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাচ্ছি না।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহসীন উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে ফোনে কিছু বলবো না। যা বলবো সব সামনাসামনি। আপনি কাল আমার অফিসে আসেন, কথা বলবানি।’

পরদিন অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন করলে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে বক্তব্য দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।

এসআর/জিকেএস