জামায়াত সেক্রেটারি
রক্তঝরা এই ইতিহাস জাতির জন্য যুগ যুগ ধরে মাইলফলক হয়ে থাকবে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাপ পরওয়ার বলেছেন, এই রক্তঝরা ইতিহাস জাতির জন্য যুগ যুগ ধরে মাইলফলক হয়ে থাকবে। জাতি এটা দিয়ে শিক্ষা নেবে শেখ হাসিনা কীভাবে হায়নার মতো মানুষের ওপর নির্যাতন, নীপিড়ন, শোষণ চালিয়েছিল। গুম, খুন, অপহরণ, আয়নাঘরের মাধ্যমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। সেই গণঅভিশাপে এবং আন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান ও ছাত্র-জনতা ঐক্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্ররাই তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা ওই সব শহীদ পরিবারের পাশে আছি। যারা সন্তান হারিয়েছে, স্বামী হারিয়েছে, ভাই হারিয়েছে তারা হাহাকার না করে মৃত্যু অনিবার্য সেটা মানতে হবে। বুকের কষ্টকে পাথর চাপা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যাতে শহীদদেরকে আল্লাহ জান্নাতের উচ্চমাকাম দান করেন। আপনারা (অভিভাবক) সৌভাগ্যবান, আপনার সন্তানরা শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনিও গর্বিত শহীদ পরিবারের সদস্য।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুয়াজজম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর সাইদী ফাঊন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদি।
জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, শহীদ নাইমের বাবা মো. কামরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক এজিএস শেখ নেয়ামুল করীম, কাঠালিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাস্টার মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, পৌর সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন খলিফা, কাঠালিয়া উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম। এ সময় ৮ শহীদ পরিবারের মাঝে ১১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
মো. আতিকুর রহমান/এফএ/জিকেএস