ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পানি কমলেও বিপদ কাটেনি গোমতী নদীর

জেলা প্রতিনিধি | কুমিল্লা | প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গোমতী নদীর পানি। এর আগে কখনো কুমিল্লার গোমতী নদী এত পানি ধারণ করেনি। তবে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯২ সেন্টিমিটার পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বুড়িচং এলাকায় গোমতীর বাঁধ ভাঙার ফলে শুক্রবার সকাল থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ৯২ সেন্টিমিটার কমে এখনো বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি না হলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমার নিচে নেমে যাবে। তবে আমরা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নই।’

তিনি আরও বলেন, বুড়বুড়িয়া এলাকায় ধসেপড়া গোমতী বাঁধ ক্রমেই প্রশস্ত হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২০০ মিটার প্রশস্ত হয়ে নদী থেকে পানি বের হয়ে বুড়িচং এবং ব্রাহ্মণপাড়ায় পানির পারিমাণ বাড়ছে।

এরআগে মধ্যরাতে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী বাঁধের একটি অংশ ধসে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এতে শনিবার সকাল পর্যন্ত বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি কমলেও বিপদ কাটেনি গোমতী নদীর

কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকার বাসিন্দা হোসেন মামুন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে গোমতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শহররক্ষা বাঁধও নরম হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী জানান, ১৭টি উপজেলার মধ্যে চান্দিনা, হোমনা এবং মেঘনা উপজেলা বাদে বাকি ১৪টি উপজেলা তলিয়েছে বানের পানিতে। সরকারি হিসাবে জেলায় সাত লাখ ৯৩ হাজার ১৪২ জন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বেসরকারি হিসেবে তা ১০ লাখের কাছাকাছি। চলমান বন্যায় জেলায় মোট এক লাখ ৬৩ হাজার ৪২৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে এক হাজার ৮০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি নগদ ৪৫ লাখ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জেলাজুড়ে ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫ হাজারের মতো বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ হাজার ২৯২ জন পুরুষ, ২২ হাজার ১৯৭ জন নারী, ১২ হাজার ৫০৫ শিশু এবং ২৮১ প্রতিবন্ধী রয়েছেন।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এমএস