বুড়িচংয়ের বাকশিমূল গ্রামে ত্রাণ নয়, প্রয়োজন ইঞ্জিনচালিত নৌকার
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বাকশিমূল গ্রামে খাবার নয়, প্রয়োজন স্পিডবোট। গ্রামের ভেতর পানিবন্দি হয়ে আছে কয়েক সহস্রাধিক মানুষ। সাধারণ নৌকায় এদের উদ্ধার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই এলাকায় যে পরিমাণ ত্রাণ সহায়তাকারীরা প্রবেশ করেছে, সে অনুসারে উদ্ধারকারীর সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। এমনকি খালিহাতে কিংবা সাধারণ নৌকা নিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ফলে তীব্র স্রোতের কারণে তেমন অগ্রগতি নেই।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে কালিকাপুর এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন।
উদ্ধারকারী দলের একজন হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছি। এখানে দুপুর ২টার দিকে এসে যা দেখলাম পুরো গ্রামে বুক সমান পানি। কিছু লোক নৌকার জন্য বের হতে পারছেন না, অনেকেই সংসারের মায়ায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এদের উদ্ধার করতে হলে স্পিডবোট বা ইঞ্জিনচালিত নৌকার প্রয়োজন। পানির স্রোতের কারণে সাধারণ নৌকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তাই সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা যারাই এই এলাকায় আসবেন খাবার নয়, মানুষ বাঁচাতে স্পিডবোট বা ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে আসুন। খাবার কিনে টাকা আপচয় না করে বোট বা নৌকা কিনুন। এটি মানুষের উপকারে আসবে। এই পরিস্থিতিতে খাবারের প্রয়োজন নেই বলে জানান ঢাবির এই শিক্ষার্থী।
ঢাবি শিক্ষার্থী রবিন সরকার বলেন, সকাল থেকে আমরা প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ উদ্ধার করেছি। আমাদের তিনটা রেসকিউ টিম কাজ করছে। এখন আরেকটা বোট আসতেছে। বাকশিমুলে ত্রাণ যতেষ্ট পরিমাণে আছে, সংকট শুধু বোট বা ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকার।
ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল কাদের বলেন, এখানে প্রচুর মানুষ আটকা পড়ে আছে। প্রত্যেকে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। কিন্তু পর্যন্ত পরিমাণ নৌকার অভাবে তাদের উদ্ধার করতে পারছি না।
তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অন্যান্য স্থানে যেভাবে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেছেন, এখানেও আপনাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। কারণ নৌকার অভাবে তাদের উদ্ধার করতে পারছি না আমরা।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস