ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিক

জেলা প্রতিনিধি | সিলেট | প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৪

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিলেট সীমান্ত থেকে আটক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন এ নির্দেশ দেন।

সিলেট জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক জামশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বিকেল ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে তোলা হয় সাবেক বিচারপতি মানিককে। সাড়ে ৪টার দিকে আদালতে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিলেট জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক জামশেদ আলম জানান, এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় কানাইঘাট থানা পুলিশ। তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:

আদালতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আসামি সাবেক বিচারপতি হওয়ায় তাকে জেলকোড অনুসারে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পরিদর্শক জামশেদ আলম আরও জানান, আসামি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলকোড অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার লালবাগ, বাড্ডা ও আদাবর থানায় হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেট থেকে দেশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হবে। যেসব থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সেসব মামলায় সংশ্লিষ্ট থানা তাকে গ্রেফতার দেখাবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে সাবেক বিচারপতি মানিককে নিয়ে পুলিশের গাড়ি আদালত চত্বরে প্রবেশ করতেই মিছিল শুরু করেন সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশভ্যান থেকে নামানোর সময় তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে জনতা। একপর্যায়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। এসময় পুলিশ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে এজলাসে নিয়ে যায়।

এরআগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। পরে আজ ভোরের দিকে সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেন।

আহমেদ জামিল/এসআর/এএসএম