বুড়িচং
উৎসুক মানুষের ভিড়ে ব্যাঘাত ঘটছে উদ্ধার তৎপরতায়
টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বুড়িচং উপজেলা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। তাদের উদ্ধারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাদের উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন বন্যা দেখতে আসা উৎসুক জনতা।
উৎসুক এসব মানুষের কারণে প্লাবিত এলাকায় ট্রাকে করে নিয়ে আসা নৌকা, স্পিডবোট এবং ত্রাণের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। বারবার মাইকিং করেও সড়ক থেকে সরানো যাচ্ছে না তাদের।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ভরাসার-ইছাপুরা সড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে প্লাবিত গ্রাম বুড়বুড়িয়া, খাড়াতাইয়া, শিকারপুর, মহিষমারা এবং গাজীপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন উৎসুক জনতা। তারা পর্যটন এলাকার মতো এসব এলাকায় এসে ঘোরাঘুরি করছেন, দখল করে রেখেছেন সড়ক। তাদের কারণে ট্রাকে করে নিয়ে আসা নৌকা, স্পিডবোট এবং ত্রাণের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। বারবার মাইকিং করেও সড়ক থেকে তাদের সরানো যাচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন।
এ এফ সিয়াম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, উদ্ধারকারীর চেয়ে উৎসুক মানুষের ভিড় বেশি। নৌকা এবং ত্রাণের গাড়ি বন্যা এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। আমাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করছেন।
বিএনসিসি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ শাখার সদস্য আশ্রাফুল বলেন, অযথা সড়কে ঘোরাঘুরি না করতে অনবরত মাইকিং করছি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা দেখতে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এতে করে বানভাসিদের কাছে খাবার ও উদ্ধারকারী টিম পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের অংশে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। রাতে অংশেই ইছাপুরাসহ আশপাশে কয়েকটি গ্রাম কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধার কার্যক্রম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে।
জাহিদ পাটোয়ারী/ইএ