ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে ভেঙে পড়লো স্টিলের সেতু

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ২২ আগস্ট ২০২৪

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর স্টিলের একটি সেতু ভেঙে বিপাকে পড়েছেন ১৫ গ্রামের মানুষ। অতিবৃষ্টিতে শস্যভাণ্ডার খ্যাত উচাখিলা ইউনিয়নের অনেক ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে ব্রক্ষপুত্রের গর্ভে।

বুধবার (২১ আগস্ট) ভোরে উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা বাজার থেকে মরিচার গ্রামে যাওয়ার সড়কে বটতলা মোড় সংলগ্ন সেতু ভেঙে চরম বিপাকে পড়ে ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দক্ষিণ চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের পানিতে ভেঙে পড়ে আছে স্টিলের সেতুটি।

বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে ভেঙে পড়লো স্টিলের সেতু

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে প্রবল স্রোতে সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে ভেঙে পড়ে যায়। সেতু ভেঙে সড়কের দুই পাশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে উচাখিলার উজানচর, মরিচারচর, চরআলগী, টানপাড়া, টান মলামারি, মাইজপাড়া ও হাশের আলগীসহ ১৫ গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ঈশ্বরগঞ্জ, উচাখিলা, রাজিবপুর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় হয়ে ত্রিশাল, কালীবাজার ও ময়মনসিংহে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে।

চর আলগী গ্রামের স্বপন মিয়া বলেন, এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি মানুষ এবং ৪০০ থেকে ৫০০ অটোরিকশা, সিএনজিসহ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। আমরা উচাখিলা ও ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে কৃষি পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। তাই এই সেতু ভেঙে পড়ায় আমরা খুব বিপাকে আছি। আশপাশের ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে ভেঙে পড়লো স্টিলের সেতু

স্থানীয় ফজলুল হক বলেন, প্রবল স্রোতে সেতুর দুই পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এছাড়া সেতু দীর্ঘদিনের পুরোনো, যে কারণে মাটি সরে যাওয়ায় ভেঙে গেছে। এতে আমাদের মতো ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, দুর্ভোগ নিরসনে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেতুটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ীভাবে মেরামতের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/জিকেএস